জল এটিএম-এর উদ্বোধন করছেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবনে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পানীয় জল পেতে নাকাল হতে হয় বাসিন্দাদের। এই সময় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যায়। টিউবওয়েল পাম্প করলে জলের সঙ্গে বালি মেলে। একেবারে পানের অযোগ্য সেই জল দিয়ে তেষ্টাও মেটাতে হয়। এমনই এক জায়গা রায়দিঘি। তবে আপাতত কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে। বুধবার থেকে চালু হয়েছে ‘ওয়াটার এটিএম’। উদ্যোক্তা স্থানীয় বিধায়ক অলোক জলদাতা।
সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ চালু হয়েছে রায়দিঘিতে। এখন থেকে ‘ওয়াটার এটিএম’-এর মাধ্যমে এক টাকায় মিলবে পরিশ্রুত পানীয় জল। প্রয়োজন মতো ঠান্ডা কিংবা সাধারণ উষ্ণতার জলও পাওয়া যাবে। ৫০০ মিলিলিটারের দাম ১ টাকা। ১ লিটার জল মিলবে ২ টাকায়। তবে পথচলতি সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যেই এটিএম থেকে জল পাওয়া যাবে। আপাতত বাজারে ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে পানীয় জল নিচ্ছেন।
বুধবার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের খাড়ি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্থানীয় বাজারে বসানো হয়েছে এই ‘ওয়াটার এটিএম’। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রায়দিঘির চিকিত্সক-বিধায়ক অলোক জলদাতা।
গরমের সময় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে রায়দিঘি এলাকার ঘরে ঘরে জলের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে পঞ্চায়েত। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গড়ে উঠেছে ‘ফলতা-মথুরাপুর জল প্রকল্প’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হুগলি নদীর জল পরিশুদ্ধ করে পাইপের মাধ্যমে এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা। সেই প্রকল্পের পাইপ লাইন বসানোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে যত দিন না জল আসছে তত দিন এলাকার বাজারগুলিতে ‘ওয়াটার এটিএম’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রায়দিঘির বিধায়ক। তাঁরই নির্দেশে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রাথমিক পর্যায়ে খাড়িতে বসেছে জলের এটিএম। এই প্রকল্পে পঞ্চায়েত খরচ করেছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। ওই এটিএম- এর দেখভাল করবেন এক জন কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy