প্রতীকী ছবি।
মিড-ডে মিলের পাতে মেনুর খোঁজ করতে গিয়ে হাতেনাতে দুর্নীতি ধরলেন রঘুনাথগঞ্জের বিডিও।
শনিবার, রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের দফরপুরে ৭টি আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনটিতেই হাতেনাতে গরমিল খুঁজে পেলেন বিডিও। ওই তিন কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিলেন বিডিও মাসুদুর রহমান। এ দিন সকালে সদলবলে তিনি হাজির হয়েছিলেন দফরপুরের ১৮ নম্বর কেন্দ্রে। ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে তখন হাজির জনা পাঁচেক শিশু ও সহায়িকা। রান্না চেপেছে উনুনে। কত জনের রান্না হচ্ছে? জানা গেল ৩৫ জনের। অথচ হাজিরা দেখানো হয়েছে ৬৫ জনের।
এর পরেই বিডিও হাজির হন ৩৮ নম্বর কেন্দ্রে। সরাসরি রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। উনুনে তখন ফুটছে ৩০টি ডিম। খিচুড়িও রান্না হচ্ছে ৩০ জনের। কিন্তু হাজিরা জনা চারেক শিশুর। নিয়ম মতো প্রসূতিদের গোটা ডিম ও শিশুদের অর্ধেক ডিম পাওয়ার কথা। তত ক্ষণে পরিদর্শনের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে গেছেন আইসিডিএসের সুপারভাইজর সানোয়ারা বিবি। তাঁর সামনেই হাজিরা খাতা পরীক্ষা করে দেখা গেল খাতায় কলমে হাজিরা দেখানো রয়েছে ৮৫ জনের। ছবিটা প্রায় একই রকম উত্তর রওজাপাড়ায়। সেখানে পাশাপাশি চলছে ৪টি আইসিডিএস কেন্দ্র। একটি কেন্দ্রের অবস্থা দেখে এ বার রীতিমত ক্ষুব্ধ বিডিও। হাজির বলতে ২ জন শিশু আর ২ জন মা। অথচ রান্না চলছে ১০ জনের। ওই কেন্দ্রে গড় উপস্থিতি দেখানো হয়েছে ৮৪। কেন? উত্তর দিতে পারেননি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সুপারভাইজার সাবানা খাতুন।
এ বার চেয়ার টেনে বসে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিডিও বলেই ফেলেন, “কি চলছে এ সব। দিনে দুপুরে এমন নির্লজ্জ পুকুর চুরি!’’
তিনি জানিয়ে যান, কাউকে ছাড়া হবে না। তাদের শো-কজ করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy