বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামির খনি-প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা-সহ নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সিটু, এআইটিইউসি, আইএফটিইউ, এআইসিসিটিইউ, এডব্লিউবিএসআরইউ, ইউটিইউসি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে সোমবার ভারতসভা হলে ‘পশ্চিমবঙ্গে পাথরশিল্প, সিলিকোসিস ও ডেউচা-পাঁচামি’ বিষয়ে গণ-কনভেনশনে বক্তা ছিলেন অনাদি সাহু, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিপ্লব ভট্ট, আশিস দাশগুপ্ত, দিবাকর ভট্টাচার্য, গৌতম মণ্ডল, অমল হালদার প্রমুখ। গণ-কনভেনশন থেকে দাবি করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী খনির কাজ শুরু হয়েছে জানালেও আদতে এলাকার চান্দা পঞ্চায়েতে মাত্র ১২ একর জমিতে একটি পাথর খাদানের এবং সে জন্য ৯৮০টি পূর্ণবয়স্ক গাছ স্থানান্তরের কাজ চলছে। প্রকল্পের ফলে পরিবেশে প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে নেতৃত্বের দাবি, ‘এনভায়রনভেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ (ইআইএ) ও বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) প্রকাশ্যে আনতে হবে। এই কাজের ফলে শ্রমিক ও বাসিন্দার প্রাণঘাতী সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার সমাধান করার মতো দাবিও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আদিবাসীদের স্বার্থরক্ষা, এলাকার মানুষের বিকল্প জীবিকার বন্দোবস্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)