—ফাইল চিত্র।
চিকিৎসক এবং নার্সদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা না থাকা নিয়ে অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার দুই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযুক্ত দুই হাসপাতালে নতুন রোগী বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন।
কিডনি এবং বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে দেবী ঘোষকে গত বছর ১৯ অগস্ট হাওড়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। স্বাস্থ্য কমিশনে দেবীর পরিবারের অভিযোগ, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের বদলে তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই চিকিৎসক। ৩০ অগস্ট হাসপাতালেই মৃত্যু হয় দেবীর। ডেথ সার্টিফিকেট দেন ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। কমিশন জানায়, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রোগী ভর্তির পর মৃত্যু হলে একজন এমবিবিএস চিকিৎসকেরই ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। পাশাপাশি এমবিবিএস না করেও ওই দুই চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেলেন কী ভাবে তা-ও তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। পাশাপাশি হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও রোগী ভর্তির অভিযোগ বেলঘরিয়ার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ২৫ এপ্রিল ওই নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় কাকলি নস্করের। চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি অভিযোগ, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই কর্মরত নার্সের। সেই নার্সই আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন বলেও অভিযোগ। যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রোগী ভর্তি ছিলেন তিনি রাশিয়া থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন। নিয়ম অনুয়ায়ী রাশিয়া থেকে পাশ করলেও রাজ্যে চিকিৎসা শুরু করার আগে একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। কিন্তু অভিযুক্ত চিকিৎসক রাজ্যের সেই মান্যতার পরীক্ষায় পাশ করার আগেই রোগী দেখা শুরু করে দেন। অভিযুক্ত ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিনিধিরা। আপাতত নতুন রোগী বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেখানেও। মৃতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy