Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

মণ্ডপ তৈরি করা নিয়ে বিতর্কে নেতা

বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক ও তাঁর মাকে মারধর করে তাঁদের জমিতে জোর করে লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপ তৈরির অভিযোগে নাম জড়াল বোলপুর পুরসভার তৃণমূল উপপুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। রবিবার বোলপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন পল্লি এলাকার ঘটনা।

মণ্ডপ নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে।—নিজস্ব চিত্র।

মণ্ডপ নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০০
Share: Save:

বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক ও তাঁর মাকে মারধর করে তাঁদের জমিতে জোর করে লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপ তৈরির অভিযোগে নাম জড়াল বোলপুর পুরসভার তৃণমূল উপপুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। রবিবার বোলপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন পল্লি এলাকার ঘটনা। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জমিতে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ পুরো দমে চলে। বিশ্বভারতীর সমাজ কর্ম বিভাগের অধ্যাপক রামপ্রসাদ দাসের দাবি, তিনি বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ওই পাড়াতে গত ন’বছর ধরে বাস করছেন। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি ওই জমি কেনেন। চারপাশে পাঁচিল তুলে দেন। তাঁর অভিযোগ, “এ দিন সকালে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা উপপুরপ্রধান নরেশ বাউরির নেতৃত্বে পাড়ার কিছু বাসিন্দা হঠাত্‌ আমার ওই জমিতে লক্ষ্মীপুজো করার জন্য মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে ওরা আমার মাকে ধাক্কাধাকি করে। নরেশবাবু আমাকে লাথি মেরে ঠেলে ফেলে দেয়।” ঘটনাচক্রে তিনি বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা-র সহকর্মী। রামপ্রসাদবাবুর বৃদ্ধা মা শিবানী দাসের দাবি, “এই পাড়ায় বছর নয়েক ধরে আমরা বাস করছি। কিন্তু কোনও দিন এখানে কোনও পুজো হয়েছে বলে জানি না।”

যদিও পুজো উদ্যোক্তা উদয়ন পল্লি সর্বজনীন দুর্গোত্‌সব কমিটির সম্পাদক কাজল ধারা এবং সভাপতি হরেকৃষ্ণ রায়ের পাল্টা দাবি, “২০০৩ সাল থেকে এই জমিতে আমরা সব রকম পুজো করছি। জোর করে দখল বা মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।” একই দাবি করেছেন নরেশবাবুও। এই তৃণমূল নেতার দাবি, “আমি ওই পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত নই। গোলমালের খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে। ওই জমিতেই দীর্ঘদিন ধরে পুজো হয়ে আসছে।” পরে এলাকার বাসিন্দারা থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy