একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলের কলকাতার সভা উপলক্ষে দু’টি পোস্টারকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ঝালদায়। ওই সভার প্রচারের জন্য ঝালদার বিভিন্ন এলাকায় রঙিন পোস্টার লাগিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দু’টি পোস্টারেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে।
একটিতে মানুষজনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ‘মা মাটি মানুষ দিবসে ধর্মতলা চলো’। পোস্টারের নীচে লেখা রাজ্য যুব তৃণমূল। অন্য পোস্টারে আবার লেখা, ‘ডাক দিয়েছে (দিদি) মমতা, ব্রিগেডে যাবে জনতা। ব্রিগেড চলুন, ঐতিহাসিক সভা।’ এই পোস্টারের নীচে লেখা সৌজন্যে: কণ্ঠিরাম মাহাতো, প্রাক্তন সভাপতি ঝালদা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর নামের পাশাপাশি ঝালদা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নামও রয়েছে। ঝালদার বাসস্ট্যান্ড মোড়, বিরসা মোড়, বাঁধাঘাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় একই সমাবেশের জন্য দু’টি ভিন্ন জায়গার (ধর্মতাল ও ব্রিগেড) নাম দেখে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেই।
ঝালদার প্রাক্তন পুরপ্রধান, তৃণমূল নেতা প্রদীপ কর্মকারের দাবি, প্রথম পোস্টারটি তাঁরাই লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, “জেলা থেকে যে পোস্টার বা ব্যানার পাঠানা হয়েছে, আমরা তাই লাগিয়েছি। আর ২১ জুলাইয়ের সভা তো প্রতিবার ধর্মতলাতেই হয়। সকলেই তাই জানেন। কিন্তু, ঝালদার বিভিন্ন জায়গায় দেখছি ব্রিগেড চলো বলেও পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি বেড়েছে। সকলেই আমাদের কাছে জানতে চাইছেন, আদতে সমাবেশ কোথায় হবে।” ঝালদার তৃণমূল কর্মী দেবাশিস সেন, জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায়দের কথায়, “আমরাও বুঝতে পারছি না, ব্রিগেডে সভার পোস্টার কী ভাবে এল।” প্রদীপবাবু জানান, তিনি বিষয়টি জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জানিয়েছেন। এর ফলে যে দলকেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে, তাও মেনেছেন তিনি।
কণ্ঠিরাম মাহাতো আবার বলেন, “ধর্মতলার পোস্টার অনেক আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া ব্রিগেড তো কলকাতাতেই। সামান্য ভুল হয়েছে।” দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “ব্রিগেড সভাস্থল বলে উল্লেখ করা ভুল হয়েছে। সকলেই জানেন সভা হয় ধর্মতলায়। ওটা এলাকার নেতৃত্বের ভুল।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy