সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় ছৌনাচকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করায় খুশি আদিবাসী লোক শিল্পী সঙ্ঘের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নকুল মাহাতো।
সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় ছৌনাচ নিয়ে সার্টিফিকেট কোর্সের পরে এ বার ডিপ্লোমা চালু করছে শুনে তিনি স্বভাবতই খুশি। নকুলবাবু শনিবার বলেন, ‘‘ভাল লাগছে। তবে আরও আগেই হওয়া দরকার ছিল। ছৌনাচের মতো একটা বিষয় নিয়ে পড়ুয়ারা পড়বে, জানবে তার অতীত। আমি অনেক আগেই এই বিষয়টি ভেবেছিলাম। তখন হয়নি। তখন এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভেবেছিলাম, সেটা হয়েছে। এখন ছৌ স্থান পাচ্ছে। তাই খুশি হয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, এমন কিছু বাদ্যযন্ত্র রয়েছে যেগুলি অনেক প্রাচীন। জেলার গ্রামজীবনে সেই বাদ্যযন্ত্রগুলির ব্যবহার রয়েছে, বা একদা ছিল, সেগুলিও টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন। না হলে লোকজীবন থেকে এ ধরনের বাদ্যযন্ত্রগুলি হয়তো হারিয়েই যাবে। তাঁর ইচ্ছে, ‘‘যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরুলিয়ারই, তাই এখানে স্নাতকোত্তর অবধি কুড়মালি ভাষাও পড়ানো হোক।’’
বয়সের কারণে সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়ার পর অশীতিপর নকুলবাবু তাঁর নপাড়া গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্রের দাবিতে একসময় তিনি জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। চেয়েছিলেন ছৌনাচের মতো একটি বীররসের নৃত্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হোক। তাঁর যুক্তি ছিল, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে পুরুলিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এই নাচ স্থান পেলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে। এই শিল্প নিয়ে গবেষণাও হবে। এই ধারার নাচের সঙ্গে অন্য ধারার মেলবন্ধন ঘটবে। কিন্তু প্রবীণ শিল্পরসিকের আক্ষেপ, তিনি চেষ্টা করেও তা পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy