খুলবে কবে? ফাইল চিত্র
এত দিন দাবি ছিল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক খোলার। সেই দাবি আর না জানিয়ে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত নিজেদের আমানত দ্রুত ফেরতের দাবি তুললেন জেলার বিভিন্ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন।
বুধবার সিউড়িতে ওই দাবি জানিয়ে জেলা সমবায় দফতরের আধিকারিক এবং জেলা সভাধিপতিকে স্মারকলিপি দিলেন সমিতির কর্মীরা। প্রসঙ্গত, বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী খেলাপি ঋণ থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে গত ১৫ মে থেকে বন্ধ ‘বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে’র ১৭টি শাখা। ওই ব্যাঙ্ক হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আড়াই লক্ষেরও বেশি আমানতকারী। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা তাঁরা কীভাবে ফেরত পাবেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তেমনই ফাঁপরে পড়েছে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত জেলার তিনশোরও বেশি সমবার কৃষি উন্নয়ন সমিতি।
এ দিন স্মারকলিপি দিতে আসা সমিতির ম্যানেজার ও কর্মীদের দাবি, সমবায় সমিতির মধ্যে ১০০টিরও বেশি সমিতি রয়েছে, যাদের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু রয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে মোট আমানতের ৭০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় গচ্ছিত থাকায় এখন তারা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক আমানতকারীদের সেই টাকা ফেরাতে পারছে না। এ ছাড়া সমিতি থেকে কৃষিঋণ দেওয়া বন্ধ। সার, বীজ কীটনাশক সরবারহ করাও বন্ধের মুখে। এ ভাবে চললে সমিতিগুলি অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁরা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদের হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। তাই স্মারকলিপি দিতে এসেছি।” ওই ব্যাঙ্ক বন্ধের জেরে জেলার বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন প্রভাবিত হচ্ছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোলার বিষয়ে কোনও নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি মিলছে না। যত দিন যাচ্ছে, ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত নানা অংশের মহলের আশঙ্কা ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে।
সমবায় সমিতিসমূহের উপ-নিয়ামক সৌগত সেনগুপ্ত সমিতির কর্মীদের দাবি যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্য দিকে, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী (যিনি ওই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও) আশ্বাস দিয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার ব্যাঙ্ক খোলার চেষ্টা করছে। হাইকোর্টে মামলাও চলছে। একটা কিছু সমাধান সূত্র মিলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy