Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
কাশীপুর

আদিবাসী বধূকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত দুই

ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে এক বধূকে ধর্ষণ করেছিল তিন যুবক। ধর্ষণের পর ওই বধূর যৌনাঙ্গে পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করলেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কর্ণপ্রসাদ বর্মন। আজ, মঙ্গলবার বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী সুবোধ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ০০:৫৯
Share: Save:

ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে এক বধূকে ধর্ষণ করেছিল তিন যুবক। ধর্ষণের পর ওই বধূর যৌনাঙ্গে পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করলেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কর্ণপ্রসাদ বর্মন। আজ, মঙ্গলবার বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী সুবোধ চট্টোপাধ্যায়।

সুবোধবাবু জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ২৮ অগস্ট কাশীপুর থানার গামারকুড়ি গ্রামে। ওই দিন সন্ধ্যাবেলায় গ্রামের ওই আদিবাসী বধূ বাড়িতে একা ছিলেন। ছেলে গ্রামেই টিউশনি পড়তে গিয়েছিল। স্বামী দিনমজুর। সেদিনও রোজের মতো কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আসানসোলের কাছে বার্নপুরে। সন্ধ্যায় স্বামী বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের মধ্যে তাঁর স্ত্রী খাটের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্বামীকে ওই বধূ সমস্ত ঘটনা জানান। স্বামী পড়শিদের ডেকে স্ত্রীর বাঁধন খুলে ওই দিনই কাশীপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে (এক অভিযুক্তের নাম বলতে পারেনি পরিবার) অভিযোগ দায়ের করেন। ওই বধূকে স্থানীয় কল্লোলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযে যাওয়া হলে তাঁর যৌনাঙ্গ থেকে তিনটি পাথর বের করেন চিকিৎসকেরা।

সুবোধবাবু বলেন, “ওই মহিলারও অভিযোগ ছিল, তিন জন তাঁর উপরে নিযার্তন চালিয়েছে। পরে তিনি বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দিতেও একই কথা জানান। তবে দু’জনের নাম তিনি পরে বলতে পেরেছিলেন। এক জনের নাম বলতে পারেননি। তাই তৃতীয় অভিযুক্ত অধরাই থেকে গিয়েছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সমীর মাঝি ও ওয়াশিংটন কিস্কুকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য তারা জামিন পায়।” সোমবার বিচারক এই মামলায় ওই দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মামলার সহকারী সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy