প্রতীকী ছবি
ভিন্ রাজ্যের এক যুবক শহরে এসে বোনের ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়লেন। এমনকি, প্রেমিকার সঙ্গেও দেখা করলেন। এ বার পরীক্ষায় জানা গেল, সেই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। ব্যস শুরু ছোটাছুটি! নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তড়িঘড়ি প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের তিন জন সদস্যকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হল।
এই ঘটনা খাস বোলপুর শহরের। সব জানাজানি হতেই ভয়ে রয়েছেন প্রেমিক যেখানে উঠেছেন, সেই এলাকার মানুষ এবং প্রেমিকার প্রতিবেশীরাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুন বিহার থেকে এক যুবক বোলপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে তাঁর বোনের বাড়িতে এসে ওঠেন। সেই দিনই শান্তিনিকেতনের রতনপল্লির বাসিন্দা প্রেমিকার সঙ্গে দেখাও করেন ওই যুবক। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে কোনও কিছু না জানিয়েই মিস্ত্রিপাড়ার ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ওই যুবক। বাইরে থেকে আসা সত্ত্বেও হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরিবর্তে খোলামেলা ভাবেই ঘুরেছেন, মেলামেশা করেছেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকেই প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে সেই দিনই ওই যুবককে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে ওই যুবকের রিপোর্ট করোনা-পজ়িটিভ আসে। তড়িঘড়ি ওই যুবককে সে দিনই বোলপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মিস্ত্রিপাড়ার যে বহুতলে যুবকের বোনের ফ্ল্যাট রয়েছে, সেই বহুতলটি কন্টেমেন্ট জ়োজন হিসেবে ঘোষা করা হয় পুরসভার তরফ থেকে।
এই ক’দিনে ওই যুবকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, চিহ্নিত করতে শুরু করে প্রশাসন। সেই খোঁজ করতে গিয়েই জানা যায়, ১৯ জুন বোলপুর আসার পরে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করেন। তার পরে বোনের বাড়িতে চলে যান। এই খবর জানার পরেই বুধবার আশাকর্মী, পুলিশকর্মী এবং পঞ্চায়েতের সদস্যেরা ওই যুবকের প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হন। প্রশাসনের তরফ থেকে ওই তরুণী এবং তাঁর মা ও বাবাকে আপাতত ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়। এ দিনই তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু, নমুনা পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি না মেলায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। আজ, বৃহস্পতিবার ওই তিন জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
ওই এলাকার এক আশাকর্মী স্বপ্না মিদ্দে নাথ বলেন, ‘‘ওই তরুণীর পরিবারকে বাড়ি থেকে আপাতত না বেরোনো এবং কারও সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ওঁদের কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়লে আমাদের জানাতেও বলা হয়েছে।’’ ওই তরুণীর বাড়ি রূপপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ভারতী সিংহ বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা ওই মেয়েটির বাড়ি গিয়ে ওঁদেরকে আমরা বুঝিয়েছি। ওই মেয়েটি আর কারও সংস্পর্শে এসেছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy