যুবকের দেহ মিলল কুয়োয়। প্রতীকী চিত্র।
মামাতো ভাইকে গলা টিপে খুন করে কুয়োয় ফেলে দিল এক যুবক। চার দিন পর কুয়ো থেকে উদ্ধার হল পচাগলা দেহ। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই কাণ্ডে জড়িত আরও এক জনকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায়।
বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার শুশুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শরৎ ঘোষ (৩৫) বড়জোড়া শিল্পতালুকে একটি বেসরকারি কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে বড়জোড়া যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন শরৎ। তবে তার পর থেকে শরতের আর খোঁজ মিলছিল না। তাঁর পরিবারের লোকজন এ নিয়ে বড়জোড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করতে শুরু করে শরতের পিসতুতো দাদা বড়জোড়ারই কাঁটাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা সাগর ঘোষকে। তার মোবাইলের কল লিস্ট এবং টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। এর পর সাগরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শুক্রবার বিকেলে সাগর স্বীকার করে সে ভাইকে গলা টিপে খুন করে মৃতদেহ কুয়োয় ফেলে দিয়েছে। তাকে এই কাজে সাহায্য করেছে আর এক যুবক। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে দ্বিতীয় জনের নাম প্রকাশ করতে চায়নি।
পুলিশ সাগরকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় বড়জোড়ার নেতাজি কলোনি এলাকায়। সেখানে নির্জন একটি জায়গায় থাকা পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে শরতের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সাগরকে গ্রেফতার করে শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। নিহতের ভাই রবীন ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কী কারণে দাদাকে খুন করা হল তা আমরা জানি না। পুলিশ আমার পিসতুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে। আমরা খুনির কঠোর শাস্তি চাই।’’
বড়জোড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ওই খুনে জড়িত দ্বিতীয় জনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মামাতো ভাই শরতের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল সাগর এবং তার পরিবারের সদস্যদের। সে কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy