শৈল্পিক: কাঠ খোদাই করে তৈরি করা হচ্ছে শিল্পকর্ম। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ে পড়া নষ্ট হওয়া গাছ থেকে কাঠখোদাই। সেই শিল্পের কর্মশালা হল শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে। বুধবার ছিল তার শেষ দিন।
দিন কয়েক আগের কালবৈশাখী এবং আমপানের দাপটে সৃজনী শিল্পগ্রামে ভেঙে পড়ে সোনাঝুরি, শিশু, মেহগনির মতো বেশ কয়েকটি গাছ। সেই গাছ কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই এই ভাস্কর্য। এর আগেও সৃজনী শিল্পগ্রামে বাজ পড়ে দুটি গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তখনও একই ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছ থেকে কাঠ খোদাইয়ের মাধ্যমে ভাস্কর্যের রূপ দেওয়া হয়। পরে সেগুলিকে সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শনীশালাতেও রাখা হয়।
এ বারও একই ভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ওই সমস্ত গাছকে ভাস্কর্যের রূপ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন কর্তৃপক্ষ। সেই মতো স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে ওই সমস্ত ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছগুলিকে বিভিন্ন ভাস্কর্যের রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয় ১২ জুন থেকে। ছয় শিল্পীকে এই কাজে লাগানো হয়। তাঁদের শিল্পকর্মের মধ্যে ধরা পরে মানুষ, পশুপাখি সহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। নাম দেওয়া হয় কাঠ খোদাইয়ের কর্মশালা। যেহেতু এই মুহূর্তে শান্তিনিকেতনে পর্যটকের দেখা নেই, তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই কর্মশালাটিকে সবার কাছে তুলে ধরা হয়।
এই কাজের অন্যতম শিল্পী গোপাল সাহা বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের এই ধরনের চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। কোনও জিনিস যে ফেলে দেওয়ার নয়, এই কর্মশালা থেকে তার আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গেল।’’ সৃজনী শিল্প গ্রামের আধিকারিক অমিত অধিকারী জানান, এই কর্মশালা এবং শিল্পকর্ম সব কিছুই পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা গৌরী বসুর উৎসাহে সম্ভব হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, শান্তিনিকেতনে আসার ব্যাপারে এই গ্রামও অনেকটাই দাগ কাটবে।
কর্মশালার সঙ্গে সৃজনী শিল্পগ্রামে যে সমস্ত পুরনো বাদ্যযন্ত্র রয়েছে সেগুলি নবীকরণ করে ও নতুন পাঁচটি বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে সেইগুলিকেও প্রদর্শনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy