বোলপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে পৌষমেলার বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন সভাধিপতি কাজল শেখ।মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
‘বিকল্প’ পৌষমেলা হওয়া নিয়ে জট কেটেছে। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠেই ওই মেলা করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্বভারতী। কিন্তু, সেই মেলার আয়োজন নিয়ে মঙ্গলবার বীরভূম জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকেই তাল কাটল। বৈঠকে যোগ দিয়েও খানিক পরেই বেরিয়ে গেলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
সভাধিপতির আচমকা এই ভাবে বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সূত্রের খবর, সভাধিপতি যখন সভাকক্ষে বেশ হাসিমুখেই যোগ দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি সোজা উঠে যান গাড়িতে। কেন বেরিয়ে এলেন, প্রশ্ন করায় কাজলের জবাব, ‘‘জেলাশাসক বলতে পারবেন।’’ জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার অজানা। উনি (সভাধিপতি) এসেছিলেন, ওঁর একটি বৈঠক ছিল। হয়তো ওঁর অন্য বৈঠক থাকতে পারে, তার জন্য চলে গিয়েছেন। এটির সঙ্গে আজকের আলোচনার কোনও সম্পর্ক নেই।”
জেলাশাসক এমনটা বললেও বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বৈঠকে ঢুকেই সভাধিপতি কিছু লোকের উপস্থিতি দেখে বিশেষ ‘খুশি’ হতে পারেননি। সভাধিপতির জন্য চেয়ার সংরক্ষিত না-থাকায় তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন। এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসকের ঠিক পাশে বসেছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তাঁর পাশে বসেছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। বিকাশের পাশের চেয়ারটি ছিল ফাঁকা। আসনটি ফাঁকা রাখা ছিল। সভাকক্ষের ভিতরে ঠিক কী ঘটেছে, কাজল শেখের সঙ্গে কারও কথা হয়েছে কি না, তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তবে, কাজল ঢুকেই কিছুক্ষণ পরে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান, দেখা গিয়েছে।
অনেকেই এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছেড়ে কাজলের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে দলের কাজ দেখছিল কোর কমিটি। এ বছর জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে এসে কোর কমিটিতে কাজলকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ফেব্রুয়ারিতে কোর কমিটির বৈঠক চলাকালীন তাঁকে ‘চক্রান্ত’ করে বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে কাজল মাঝপথে বেরিয়ে যান কমিটি থেকে। এ বার তিনি বেরিয়ে গেলেন ‘বিকল্প’ পৌষমেলার বৈঠক থেকেও।
দীর্ঘ টানাপড়েন চলার পর অবশেষে সোমবার মেলার মাঠে ‘বিকল্প’ পৌষমেলা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে বিশ্বভারতী। ওই মাঠে কী ভাবে মেলার আয়োজন করা হবে, তা নিয়েই এ দিন বোলপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে ছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, ব্যবসায়ী সমিতি, বিশ্বভারতী কয়েক জন আধিকারিকও। মেলার আয়োজন নিয়ে জেলাশাসক বলেন, “বুধবার থেকে মেলার মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা থেকে শুরু করে মাঠকে মেলার উপযুক্ত করে তোলার কাজ শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে মাঠ পরিদর্শন চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy