বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিভাগীয় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থা, কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং জাতিবৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর চার ছাত্রী। সেই ঘটনায় এ বার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য মহিলা কমিশন। এই নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০১৮-’১৯ সাল থেকে দুই বিভাগের দুই অধ্যাপক বিভাগের গবেষণারত এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে জনা সাতেক ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতন ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি জাতিবৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছেন। বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি)-তেও তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। এর পরেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগে গত অগস্টে নির্যাতিতা কয়েক জন ছাত্রী অনশনে বসে ছিলেন। এর পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী দফতর, রাজ্য মহিলা কমিশন, শিক্ষামন্ত্রক সহ নানা স্তরে হস্তক্ষেপ দাবি করে ই-মেল করেন। সেই মর্মে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্যও জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। এর পরেও বিশ্বভারতী পদক্ষেপ করেনি অভিযোগ তুলে পুজোর আগে ফের শান্তিনিকেতন ডাকঘর সংলগ্ন তালধ্বজের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়া ব্যানার নিয়ে অনশনেও বসেন ছাত্রীরা।
ওই ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইসিসি-র (ইন্টারনাল কমপ্লেইন্টস কমিটি) রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বিশ্বভারতীর কাছে। যদিও সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরের অনশনের খবর পেয়ে বিশ্বভারতীকে ফের ই-মেল করেছে মহিলা কমিশন। সূত্রের খবর, ২৯ নভেম্বরের মধ্যে (পূর্ণাঙ্গ) রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। নির্যাতিতা ছাত্রীদের অনেকেই বলছেন, “মহিলা কমিশন যখন তৎপর হয়েছে, এ বার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আমাদের আশা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy