গ্রামের প্রবেশপথ আগলে বাসিন্দারা। সোমবার সিউড়ির রাস্তায়। ডান দিকে, সাঁইথিয়ার আট নম্বর ওয়ার্ডে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিজস্ব চিত্র
গ্রামের প্রবেশপথ আগলে রয়েছেন কয়েক জন। রাস্তা আটকে কাঁচা বাঁশ আড়াআড়ি ভাবে ফেলে তার গায়ে লিখে দেওয়া হয়েছে — ‘বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ’। সঙ্গে রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক এবং লকডাউন সার্থক করার জন্য একাধিক পোস্টার। সিউড়ি শহর লাগোয়া সিউড়ি ২ ব্লকের গাংটে এবং সিউড়ি ১ ব্লকের রাইপুর গ্রামে গেলে এমনই ছবি দেখা যাবে। সাঁইথিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও করা হয়েছে এমনই।
গাংটে গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, লকডাউন শুরু হওয়ার পরেই গ্রামের মানুষরা বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, করোনাভাইরাস সংক্রমণ যে ভাবে পৃথিবী জুড়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তাতে নিজের এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখতে, লকডাউন সার্থক করতে এবং ওই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য রবিবার দুপুরে গ্রামবাসী মিলিত ভাবে গ্রামের প্রবেশ পথে ওই নিষেধের পোস্টার লাগিয়ে দেন। পোস্টার দেখে পথচলতি মানুষ যাতে অযথা আতঙ্কিত না হন, তার জন্য লকডাউন সার্থক করার অনুরোধও করা হয়েছে।
অন্য দিকে, কোনও বহিরাগতকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেখলেই নানা প্রশ্ন করছেন গ্রামবাসী। গ্রামের বাসিন্দা উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের এবং নিজের গ্রামকে নিরাপদে রাখার জন্যই এই উদ্যোগ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে এখনও পর্যন্ত ভিন্ জেলা বা রাজ্য থেকে কোনও অজ্ঞাত লোক গ্রামে আসেননি। সেই রকম কেউ এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরে জানাব।’’ একই কথা জানিয়েছেন গ্রামের আর এক যুবক দেবীপ্রসাদ দাস। রাইপুর গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর রাইপুরের বাসিন্দারা গ্রামের প্রবেশপথে বাঁশ লাগিয়ে ‘বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ’ এমন পোস্টার লাগিয়েছেন। ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক এবং লকডাউন মেনের চলার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করে পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
লক-ডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বহিরাগতরা ওয়ার্ডে ঢুকে জমায়েত করছেন, এমন অভিযোগ করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করেছেন সাঁইথিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সোমবারের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লক-ডাউন যত দিন চলবে, তত দিন বাঁশের বেড়াও থাকবে। এই সময়কালে বহিরাগতদের প্রবেশ রোধের পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপীনাথ চক্রবর্তী জানান, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বাসিন্দাদের একাংশ সচেতন হচ্ছেন না। বাইরের লোকের আনাগোনাও ঠেকানো যাচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দারা ওই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy