নিয়ম উড়িয়ে ভিড়। বাঁকুড়ার বড়রথতলা। নিজস্ব চিত্র
ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে আটকানো হচ্ছে যানবাহন। এত কিছুর পরেও, রাস্তায় জমাটি ভিড় দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ‘লকডাউন’ কতটা মানা হচ্ছে বাঁকুড়া শহরে?
জেলায় এখনও কোনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। করোনার সংক্রমণের বিচারে রাজ্যের ‘সবুজ’ তালিকায় রয়েছে বাঁকুড়া। নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হওয়ায় সরকারি অফিস-কাছারিগুলি খুলেছে চলতি সপ্তাহ থেকে। আর তার পরই শহরে ফিরেছে চেনা ভিড়ের ছবি। রানিগঞ্জ মোড়, মাচানতলা, ভৈরবস্থানের মতো এলাকাগুলিতে পুরনো যানজটও আবার চোখে পড়ছে। বাইরে মুখ ঢেকে বেরনো মানুষ বেশি নজরে পড়লেও খোলা মুখেও অনেকে ঘুরছেন পথেঘাটে। পাশাপাশি বসে চার-পাঁচ জনকে আড্ডা দিতেও দেখা যাচ্ছে রাজপথে, পাড়ার গলিতে।
‘লকডাউন’ এখনও বলবৎ রয়েছে। তার পরেও কী ভাবে এমনটা হয়, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই। শহরের নাট্য ব্যক্তিত্ব অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাঘাটে ভিড় দেখে মনে হচ্ছে যেন ‘লকডাউন’ পুরোপুরি উঠে গিয়েছে। কেবল দোকানগুলিই বন্ধ। এ ছাড়া রাস্তায়, বাজারে যথেচ্ছ বেরোচ্ছেন লোকজন।” তাঁর আশঙ্কা, “প্রতিদিনই রাজ্যে নতুন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে। এই পরিস্থিতিতে এখনই রাস্তাঘাটে এত ভিড় হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
বাঁকুড়া শহরের একটি আবাসনের বাসিন্দা অমর সামন্ত বলেন, “অনেক দিন পরে বাজার করতে বাইরে বেরিয়েছিলাম। দেখি, রাস্তাঘাটে লোক গিজগিজ করছে। শহরের সরু এলাকাগুলিতে যানবাহনের চাপে যানজট হচ্ছে। এ সব দেখে খুবই চিন্তা হচ্ছে। ‘লকডাউন’-এর উদ্দেশ্য তো শুধু কিছু দোকান বন্ধ করা নয়।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “সরকারি অফিস খুলেছে। অত্যাবশ্যক পণ্যের দোকান খোলা। এর বাইরে সবই বন্ধ। শহরের পরিস্থিতির উপরে আমাদের নজর রয়েছে। অকারণে কেউ রাস্তায় বেরোলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy