ঠাসা: বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের রাস্তায় ভিড়। নিজস্ব চিত্র
পর পর দু’দিন, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক লকডাউন হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বিস্তর ঝকমারি করে বাজার সেরেছেন পুরুলিয়া বাঁকুড়ার প্রচুর গৃহস্থ। আর দুপুরে টিভিতে শুনেছেন, শনিবার লকডাউন হচ্ছে না। তাঁদের আক্ষেপ, আগে ঘোষণা হলে হয়রানি এড়ানো যেত। তবে বিক্রেতাদের মুখে হাসি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কেনাবেচা হয়েছে ভালই।
রবিবার পুরুলিয়ার সাপ্তাহিক বাজার বন্ধের দিন। শহরের লোকজন জানতেন তিন দিন ঠিকঠাক কেনাকাটা করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার পোস্ট অফিস মোড়, হাটের মোড়, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, ডিএম অফিসের মোড়, কাপড় গলির মোড়ের বাজারে ছিল থিকথিকে ভিড়। বেলার দিকে যানজট বেধে যায় মূল রাস্তায়।
আজ, শুক্রবার জিতাষ্টমীর মূল পুজো বা ‘পান্না’। দশকর্মা, ফল আর মিষ্টির দোকানগুলি ছিল ভিড়ে ঠাসা। ক্রেতাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, বুধবার বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই বাইরে বেরোতে পারেননি।
বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা আর চকবাজারে ছিল লোকারণ্য। বিষ্ণুপুরের মাধবগঞ্জ, চকবাজারেও একই ছবি। আনাজের দাম ছিল বেশ চড়া। খাতড়ার একটি মুদি দোকানের মালিক সায়ন রজক জানান, প্রতিদিন যাঁরা বাজারে আসেন, এ দিন দিন তিনেকের বাজার এক সঙ্গে করে ফেলেছেন।
পাত্রসায়রের অনুপ ঘোষ, ইন্দাসের গৌতম ধাড়া, ঝালদার কুলদীপ সিংহ ও মানবাজারের বিধান মণ্ডল বলেন, ‘‘লকডাউন তোলার কথা বলা হল দুপুরে। ততক্ষণে যে, যা বাজার করার করে ফেলেছেন।’’ বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জের সমীর দাসের আক্ষেপ, ‘‘এমনিতেই আলু আর পেঁয়াজের দাম চড়া। এক ধাক্কায় খামোখা অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে গেল।’’
এ দিন বিভিন্ন বাজারে ভিড়ের বহর দেখে অনেকেই চিন্তিত। পুরুলিয়া নাগরিক মঞ্চের সভাপতি সুবলচন্দ্র দে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার অনেক আগেই লকডাউনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ভিড় এড়াতে সবাই যাতে একটু একটু করে জিনিসপত্র কিনে রাখেন, সে জন্য আমরা অনেক দিন ধরে প্রচার করেছি। কিন্তু বোঝা গেল, কেউই বিশেষ সচেতন নন। শেষ মুহূর্তে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।’’
সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে ‘মাস্ক’ পরার ব্যাপারেও। বাঁকুড়ার চকবাজারে শান্তনু পাল নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘‘ঘামে মাস্ক ভিজে যাচ্ছে। অস্বস্তি হচ্ছে। তাই খুলতে বাধ্য হয়েছি।’’ খাতড়া, রানিবাঁধ, রাইপুর, সিমলাপাল, সারেঙ্গাতেও বাজারহাটে অধিকাংশ লোকের মুখে ‘মাস্ক’ ছিল না। পুরুলিয়া শহরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে প্রচুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ‘মাস্ক’ না পরার জন্য বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy