Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Winter

হঠাৎ ঠান্ডায় কাঁপছে জেলা

আচমকা শীতের এই কামড়ে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। সকালের দিকে পথঘাট কার্যত ফাঁকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৮
Share: Save:

পারদ নামতে শুরু করেছিল গত শুক্রবার থেকে। সোমবার মরসুমের শীতলতম দিন কাটানোর পরে, মঙ্গলবার পারদ সামান্য উঠলেও দিনভর কনকনে ঠান্ডায় কেঁপেছে পুরুলিয়া।

জেলা কৃষি দফতর জানাচ্ছে, গত ২০ নভেম্বর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পরে পারদ সে ভাবে নামেনি। ঘোরাফেরা করেছে ১৬ ডিগ্রির আশপাশেই। সেই ধারা বজায় ছিল চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত। তার পরেই ধাপে ধাপে গত পাঁচ দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি থেকে নেমেছে ৫.২ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পুরুলিয়া ২ ব্লকের জাহাজপুর কল্যাণ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত ঠাকুর বলেন, ‘‘জেলার তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের থেকে এক-দুই ডিগ্রি নীচে রয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে।’’

আচমকা শীতের এই কামড়ে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। সকালের দিকে পথঘাট কার্যত ফাঁকা। একই ছবি দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যার পরেও। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে সকালের বাসেও হাতেগোনা যাত্রী। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, সকালের দিকে প্রায় সমস্ত বাসই ফাঁকা থাকছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোর বা সকালের দিকে রওনা দিয়ে যে বাসগুলি সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টায় পুরুলিয়া সদরে পৌঁছয়, সে সব বাসেও একই ছবি চোখে পড়ছে। জেলা সদর থেকে রওনা দেওয়া বাসগুলিরও একই অবস্থা।

যদিও শীত বাড়ায় বেড়েছে শীতবস্ত্রের বিক্রি। ভিড় চায়ের দোকানগুলিতেও। পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ের এক চায়ের দোকানদার উজ্জ্বল সেন বলেন, ‘‘ঠান্ডা পড়তেই চায়ের বিক্রি বেড়েছে। আশা করা যায়, কিছু দিন এমনটাই থাকবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Winter Purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy