প্রতীকী ছবি।
দ্রুত হারে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পুরুলিয়ায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জেলায় ১৫৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এক দিনে রেকর্ড সংক্রমণে চিন্তায় প্রশাসন। পাশাপাশি, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে, আগামী সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ‘হেলথ কার্ড’ চালু করতে চলেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৪২২। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১,৫৫১ জন। বর্তমানে ‘অ্যাকটিভ’ রোগীর সংখ্যা ৮৬২। রাজ্যে সুস্থতার হার যেখানে ৮৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে, সেখানে জেলায় সুস্থতার হার ৬৪ শতাংশে আটকে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ার কারণে বেশি সংখ্যক আক্রান্তের হদিস মিলছে, মত জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, পুরুলিয়া দীর্ঘদিন ‘গ্রিন জ়োন’-এ ছিল। সংক্রমণ দেরিতে শুরু হলেও সংক্রমণ ছড়ানোর গতির নিরিখে পুরুলিয়া এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্তের কথায়, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলা ও আক্রান্তদের খুঁজে বার করে আলাদা করার মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব।’’
জেলায় সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পুরুলিয়া পুর-এলাকা। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৬। পিছিয়ে নেই মফস্সলও। গত সপ্তাহে পাঁচটি ব্লক একশোর গণ্ডি পেরোলেও মঙ্গলবার তা আটে পৌঁছেছে। ব্লকগুলি হল—বলরামপুর, কাশীপুর, জয়পুর, পুরুলিয়া ১, বান্দোয়ান, রঘুনাথপুর ১, আড়শা ও পুঞ্চা। এ দিকে, একশোর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়া ২, নিতুড়িয়া, বরাবাজার ও রঘুনাথপুর ২ ব্লক। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় বান্দোয়ানে ব্লকে এক ধাক্কায় ৩১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, বলরামপুর, বান্দোয়ান, আড়শার মতো জঙ্গলমহলের ব্লকগুলিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও জানান, বান্দোয়ানের মতো কিছু ব্লকে সংক্রমণ বাড়লেও যে সতর্কতা বা সচেতনতা দরকার, তা চোখে পড়ছে না।
করোনায় আক্রান্তদের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে বিশেষ ‘হেলথ কার্ড’ চালু করছে জেলা প্রশাসন। সে কার্ডে আক্রান্তের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর উল্লেখের পাশাপাশি, ‘হোম আইসোলেশন’-এ থাকা আক্রান্তের বাড়িতে এলাকার যে স্বাস্থ্যকর্মী খোঁজ নিতে যাবেন, তিনি কার্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি উল্লেখ করবেন। ১৪ দিন ধরে নিয়মিত পালস্ অক্সিমিটারে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা, ‘পালস্ রেট’, কোনও লক্ষণ রয়েছে কি না, ইত্যাদি কার্ডে উল্লেখ করতে হবে।
বিশেষ কার্ড চালু প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর আসছে। তাঁদের মৃত্যু কোভিডের কারণেই হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। আক্রান্তের বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা খোঁজ নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু শুধুই তিনি কেমন আছেন, জ্বর রয়েছে কি না ইত্যাদি তথ্যই তাঁরা তুলে আনছেন। আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কতটা রয়েছে, তা জানা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। একটি কার্ড থাকবে আক্রান্তের কাছে, কার্ডের আর একটি প্রতিলিপি থাকবে এলাকার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কার্ড দেখলেই জানা যাবে আক্রান্তকে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়মিত দেখেছেন কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy