উদ্ধার হওয়া গাঁজা। নিজস্ব চিত্র
রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে গাঁজা। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আনাড়া স্টেশনে ট্রেনের প্যান্ট্রি কারে অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা উদ্ধার করেন আরপিএফের আনাড়া পোস্টের কর্মীরা। আরপিএফের দাবি, উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ ১৩ কেজি ৫৩ গ্রাম। যার বাজারমূল্য আনুমানিক এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা। আরপিএফের আদ্রা ডিভিশনের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট দেবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আনাড়া পোস্টের কর্মীরা রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তা বাজেয়াপ্ত করার পরে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত করবে রেল পুলিশ।” পুরুলিয়ার রেল পুলিশ জানিয়েছে, গাঁজা পাচারের তদন্ত শুরু হয়েছে। গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আরপিএফ বা রেল পুলিশ।
আরপিএফ সূত্রের খবর, শনিবার বিশেষ সূত্রে খবর মেলে, ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লিগামী তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। সেই মতো ট্রেনটি আনাড়া স্টেশনে থামলে আনাড়া পোস্টের ওসি অজয়কুমার গরাঁইয়ের নেতৃত্বে আরপিএফ ও রেল পুলিশের আনাড়া ফাঁড়ির কর্মীরা ট্রেনে অভিযান চালান। প্যান্ট্রি কার থেকে পাওয়া যায় কালো রঙের একটি ট্রলি। তাতেই ছ’টি প্যাকেটে ছিল ১৩ কেজির বেশি গাঁজা।
রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো প্রথম সারির ট্রেন থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রেলের নানা মহলে। উঠছে নানা প্রশ্নও। অন্য ট্রেনের তুলনায় রাজধানীতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বরাবরই বেশি থাকে। তা ছাড়া, প্যান্ট্রি কারে সেখানকার কর্মীরা ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশাধিকার থাকে না। তাই সাধারণ সংরক্ষিত কামরার মতো কেউ যাত্রী সেজে গাঁজা ভর্তি ব্যাগ রেখে চলে যাবে, সেই সম্ভাবনা কম বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর।
আরপিএফ সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটি আনাড়া স্টেশনে কয়েক মিনিটের জন্য থামে। ফলে প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের যথাযথ ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। আরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “সাধারণত প্যাসেঞ্জার ট্রেনেই গাঁজা পাচারের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে গাঁজা পাচারের ঝুঁকি নেয় না পাচারকারীরা। তার পরেও প্যান্ট্রি কারে সেখানকার কর্মীদের অলক্ষ্যে কী ভাবে কেউ গাঁজা ভর্তি ব্যাগ রেখে গেল, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।” পুরুলিয়ার রেল পুলিশ তবে জানাচ্ছে, ঘটনার বিশদ তদন্ত শুরু হয়েছে। প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া, ভুবনেশ্বর থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরে যে সব স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল, সেই সব স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ় পরীক্ষা করেও দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy