উচ্চ মাধ্যমিকে দশম হওয়া রিয়াঙ্কা ভাবেনওনি মেধাতালিকায় থাকবেন। নিজস্ব চিত্র।
এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় তাঁর নাম দশ নম্বরে। জেলার মধ্যে দ্বিতীয়। ওই মেধাতালিকায় নাম থাকাদের বেশির ভাগই যখন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছার কথা বলছেন, পুরুলিয়ার নপাড়া হাই স্কুলের ছাত্রী রিয়াঙ্কা মাহাতো তখন বলছেন, তিনি নার্স হতে চান।
উচ্চ মাধ্যমিকে রিয়াঙ্কার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। ফলপ্রকাশের পর তিনি জানিয়েছেন, বড় হয়ে নার্স হতে চান। কেন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়? রিয়াঙ্কার কথায়, ‘‘আমার দিদি প্রিয়াঙ্কা নার্সিং পাঠরত। দিদিকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। ওকে দেখে সেবিকার কাজ বেছে নিতে চেয়েছি। মানুষের সেবা করতে চাই।’’
রিয়াঙ্কার বাবা সুনীলচন্দ্র মাহাতো পেশায় শিক্ষক। মা কবিতা মাহাতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। ভবিষ্যতে মেয়ে যেটাই করতে চান না কেন, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে তাঁদের।
রিয়াঙ্কা নিজেই ভাবেননি যে এতটা ভাল ফল করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করিনি যে, রাজ্য মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারব। তবে পরীক্ষা ভাল হয়েছিল।’’ রিয়াঙ্কা তাঁর এই সাফল্যের জন্য তার বাবা-মা এবং শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘নার্সের কাজ করে মানুষের সেবা করা যায়। তাই আমি বড় হয়ে সেবিকা হতে চাই।’’
নিজের স্কুলে পরীক্ষা হওয়ায় কি বাড়তি কোনও সুবিধা হয়েছিল? রিয়াঙ্কার সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘নিজের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ায় ভয়টা ছিল না।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy