২০২৪ সালের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক’ (এনআইআরএফ) র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম একশোতেও ঠাঁই হয়নি বিশ্বভারতীর। যা নিয়ে ‘তীব্র সমালোচনার’ মুখে পড়তে হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেই সেই র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, সব করা হবে বলে বুধবার মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতীর নতুন উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ। তাঁর এ ভাবনাকে ছাত্র, কর্মী, শিক্ষক সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
গত বছর অগস্টে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। প্রথম ১০০টি স্থান দেওয়া হয় তালিকায়। এই মূল্যায়নে মূলত সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো, গবেষণার মান, সমাজের সব স্তরের পড়ুয়াদের শিক্ষার মূলস্রোতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় কী ভূমিকা, কর্মক্ষেত্রে প্রাক্তনীরা কতটা সফল— এমন বেশ কয়েকটি মানদণ্ডে প্রতিষ্ঠানগুলির বিচার করা হয়। সে বিচারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ২০২০ সালে ৫০ নম্বরে স্থানে ছিল বিশ্বভারতী। ২০২১ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ৬৪ নম্বরে। ২০২২ সালে ছিল ৯৮ আর ২০২৩ সালে তা হয়ে দাঁড়ায় ৯৭। ২০২৪ সালের তালিকায় প্রথম একশোতেও ঠাঁই পায়নি বিশ্বভারতী।
তালিকা প্রকাশের পরে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়তে হয় বিশ্বভারতীকে। এ র্যাঙ্কিং-এ জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বিশ্বভারতী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। দায়িত্ব নেওয়ার পরে উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে। সেটাই আমার কাজ।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)