অমর্ত্য সেন এবং বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।
অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে জমি দখলের অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছে বীরভূমের জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে একটি সরকারি নথিও (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শান্তিনিকেতনের ১.৩৮ একর জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ় দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যের বাবা আশুতোষ সেনকে। তা নিয়ে তরজার মধ্যে এ বার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করলেন, অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ যে জমিতে তৈরি হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়েরই।
বিশ্বভারতীর দাবি, ১৯৪৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী, আশুতোষকে ১.২৫ একর জমি লিজ় দিয়েছিল বিশ্বভারতী। ১.৩৮ একর নয়। এই বিষয়টি আগের দুই চিঠিতেই অমর্ত্যকে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ১৯৪৩ সালের সেই চুক্তি এবং ২০০৬ সালের কর্মসমিতির প্রস্তাব, কোথাও আশুতোষ বা অমর্ত্যকে বিশ্বভারতীর কোনও জমিরই মালিক হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। প্রেস বিবৃতিতেও কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্যের ‘প্রতীচী’ বাড়ির প্রকৃত জমি ১.২৫ একর। ১৩ শতক জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন অর্থনীতিবিদ!
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বেদখল হওয়া ৭৭ একর জমি ইতিমধ্যেই পুনরুদ্ধারে নেমেছে বিশ্বভারতী। সেই সূত্রেই চিঠি দেওয়া হয়েছে অমর্ত্যকে। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, বিষয়টি মিটমাটের জন্য নোবেলজয়ীর কাছে দু’টিই পথ খোলা রয়েছে। একটি হল, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। দুই, আইনি প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে আসা সরকারি নথির প্রেক্ষিতে শনিবার বীরভূমের জেলাশাসক বলেছেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে যে নথি রয়েছে, সেই অনুযায়ী অমর্ত্য সেনের পরিবারের নামে ১ একর ৩৮ শতক জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ়ে রয়েছে।’’ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক সূত্রেরও দাবি, সেন পরিবারকে যে ১.২৫ একর জমিই লিজ় দেওয়া হয়েছিল, তার সপক্ষে কোনও ‘রেকর্ড’ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy