শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরি খোয়াই বনের হাটে বসন্ত উৎসব হবে। সে জন্য বোলপুর লজ মোড়ে হয়েছে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
এ বারেও বসন্ত উৎসব করছে না বিশ্বভারতী। শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, এ বারও বসন্ত উৎসব না করে তার পরিবর্তে গত বারের মতো বসন্ত বন্দনার আয়োজন করা হবে। সেই মর্মে দোলের পর দিন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
দোরগোড়ায় চলে এসেছে বসন্ত উৎসব। তাই এ বছর বসন্ত উৎসব হবে কি না তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব না করার ঘোষণা করে দেওয়ায় হতাশ পড়ুয়া, প্রাক্তনী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন তথা জেলাবাসীর, পর্যটন ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ।
বিশ্বভারতীতে শেষ বার বড় আকারে বসন্ত উৎসব হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর ২০২০, ২০২১ সালে করোনা অতিমারি এবং ২০২২, ২০২৩ সালে নানা কারণ দেখিয়ে বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব করেনি। গত বারও বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনার আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠান থেকে অনেককে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল।
বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতী থেকে অবসর নেওয়ায় পর যেমন মেলার মাঠে পৌষমেলা ফিরেছে, তেমনই বসন্ত উৎসবও এ বার ফিরবে বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু বসন্ত উৎসবের সময় সামনে চলে এলেও বসন্ত উৎসব নিয়ে কোনও রকম বৈঠক করতে বা প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। তাই এ বার দোল উৎসবের দিনে যে বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নাও করতে পারেন সেই আশঙ্কাও অনেকে করছিলেন।
শুক্রবার রাতের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে পড়ুয়া, আশ্রমিকদের অনেকের সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪ সালের বসন্ত বন্দনা নিয়ে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকে সমস্ত ভবনের ডিরেক্টর, অধ্যক্ষ, কর্মসচিব-সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের থাকতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই দিনই জানিয়ে দেওয়া হবে বিশ্বভারতী কবে বসন্ত বন্দনার আয়োজন করবে।
বিশ্বভারতী এ বারও বসন্ত উৎসব আয়োজন না করায় হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। এ নিয়ে প্রবীন আশ্রমিক সৌরীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে রবীন্দ্র আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে কী ভাবে বসন্তকে আবাহন করা যায়। কিন্তু আজকে যদি বিশ্বভারতী সেই সব কিছু সরিয়ে রেখে নিজেদের ভাবনায় বসন্ত উৎসবকে পরিচালনা করেন তা বড় দুঃখের।”
হতাশ হস্তশিল্পী, ব্যবসায়ীরাও। কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত ভকতরা বলেন, “বিশ্বভারতী তার পুরনো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে, তাই এ বারও তাঁরা বসন্ত উৎসবের আয়োজন না করায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।” এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy