রাস্তায় ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে অবরোধ। শিরিষগোড়া গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।
তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই গ্রামে। ক্ষোভে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসী। সোমবার বিকেলে বান্দোয়ান-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কের বান্দোয়ানের শিরিষগোড়া গ্রামে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পথ অবরোধ বিক্ষোভ চলে। আটকে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে ব্লক সদর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ায় তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন বেশ কিছু গ্রাম। এ দিন দুপুরে বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার দাবিতে শিরিষগোড়া গ্রামে পথ অবরোধ করেন গ্রামের মহিলা-সহ পড়ুয়ারা।
অবরোধকারীরা জানান, তিন দিন গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ঢাকছে গোটা গ্রাম। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। মোবাইল চার্জ করা থেকে গভীর নলকূপ থেকে জল তোলা সবই বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ। তাঁদের আরও অভিযোগ, ব্লক সদরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও মাত্র এক কিলোমিটার দূরে তাঁদের গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।
এ দিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বান্দোয়ান থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার উপকেন্দ্রের ম্যানেজার প্রশান্ত মণ্ডল-সহ অন্যরা।বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিককে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় বর্ণালী মণ্ডল, তারা মণ্ডলের মতো অনেকে বলেন, “সামান্য বৃষ্টি হলেই দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে না। আমাদের বেশ কিছু দাবি আছে। তা মানা না হলে আবার অবরোধ করব।” শেষে পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি উপকেন্দ্রের ম্যানেজার প্রশান্ত মণ্ডল। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিয়োনাল ম্যানেজার রজত টিকাদারকে একাধিক বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।
অন্য দিকে দুর্যোগে জয়পুর ও ঝালদা ২ নম্বর ব্লক এলাকার কিছু মাটির ঘরের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এ দিন দমকা হাওয়ায় ঝালদা শহর লাগোয়া মসিনা গ্রামের কাছে মূল লাইনে বিদ্যুৎবাহী তারের উপর একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা গিয়ে ডাল সরিয়ে ছেঁড়া তার জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করেন।
সোমবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জয়পুরের কয়েকটি এলাকা তখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। চাষমোড়ে লো ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy