Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Roads Destroyed

জল ছাড়ায় ভেঙেছে রাস্তা, দুর্ভোগ বারোটি গ্রামে

নদীর জল বাড়ায় সেই অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ফলে, ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে আপাতত নদীর জল পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

ময়ূরাক্ষীনদীর জল বাড়ায় ভেঙেছে অস্থায়ী রাস্তা। ফলে ঝুঁকির যাতায়াত এলাকাবাসীর।

ময়ূরাক্ষীনদীর জল বাড়ায় ভেঙেছে অস্থায়ী রাস্তা। ফলে ঝুঁকির যাতায়াত এলাকাবাসীর। ছবি: পাপাই বাগদি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ ০৫:৪০
Share: Save:

দু’দিন আগে তিলপাড়া জলাধারের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ময়ূরাক্ষী নদীতে ৩০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। তাতেই মহম্মদবাজারের বেহিরা, ভেজেনা থেকে মৌলপুর যাওয়ার নদীর উপরে অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে যায়। ফলে, যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে ময়ূরাক্ষীর দু’টি শাখার মাঝে প্রায় ১২টি গ্রাম রয়েছে। যার মধ্যে বেহিরা, ভেজেনা, কানিয়ারা ও দুমনি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই ব্লক, থানা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মহম্মদবাজারের আনাজ বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এটিই নদীর দু’পাড়ের মধ্যে যোগাযোগের রাস্তা। ওই রাস্তার উপর নির্ভর করেন এলাকার বহু বাসিন্দা।

দু’দিন আগে নদীর জল বাড়ায় সেই অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ফলে, ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে আপাতত নদীর জল পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। না হলে সিউড়ি হয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ঘুরপথে অথবা বড়াম হয়ে আঙ্গারগড়িয়া হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে বেহিরা, ভেজেনা-সহ নদীর তীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল, ধ্রুবনাথ পাল, দীপক পাল ও বাদল সরেনরা বলেন, ‘‘এই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই নদীর উপর কজ়ওয়ে বানানো হোক। তবে তার আগে প্রশাসন পুনরায় দ্রুত রাস্তা বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।’’ মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাসিনী মুর্মু বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মাটি দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Mayurakshi River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE