সকাল থেকেই শুরু ইদের উদ্যাপন। তার আগের রাতেই আলোয় সেজে উঠেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। আজ সোমবার, জেলা জুড়ে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা সদরের সোনাতোড়পাড়া, রুটিপাড়া, রবীন্দ্রপল্লি, মসজিদ মোড়, মাদ্রাসা পল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গা আলোয় সাজানো হয়েছে। চন্দননগর থেকে আলোর তোরণ নিয়ে আসা হয়েছে। আজ সকাল ৮টা নাগাদ সিউড়ির ইদগাহ ময়দানে নমাজের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে অন্তত ২৫-৩০ হাজার বিড় হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইদগাহের বাইরের মাঠেও ভিড় হবে।
সিউড়ির ইদগাহে নমাজ পড়তে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তার জন্য পুলিশি ব্যবস্থাও থাকবে৷ ময়দানের বাইরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে ট্রাফিক পুলিশও। নমাজের পরে ওই মাঠেই আজ দুপুর থেকে শুরু হবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। চামচ দৌড়, রিকশা দৌড়, সাইকেল রেস-সহ ৩৬টি বিভাগে খেলা হবে। পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকার কথা জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের৷ সিউড়ির একাধিক ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হচ্ছে, যা ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
মহম্মদবাজার ব্লকের সাহানগর ও রাউতোড়ায় আলো ও ফুল দিয়ে গ্রাম সাজানো হয়েছে। এখানেও নানা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দুবরাজপুর ব্লকের ডাঙালপাড়াতে সোমবার থেকে ইদ উপলক্ষে আয়োজিত হতে চলেছে মেলা। দুবরাজপুর এলাকার বিভিন্ন মসজিদগুলিও আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রামপুরহাটে মসজিদ ও ইদগাহগুলির পাশাপাশি সমস্ত পাড়ায় পাড়ায় আলোর মালা। রামপুরহাটের ভাঁড়শালা মোড়ে আজ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ একত্রে নমাজ পড়বেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বীরভূম ইদ স্পোর্টস কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজী ফরজুদ্দিন বলেন, “ইদ আনন্দের অনুষ্ঠান। নতুন পোশাক পরে সবাই আনন্দ করবে, খাওয়া-দাওয়া করবে। সবছু যাতে সুষ্ঠু ভাবে আয়োজিত হয়, তার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সকলকে নিয়ে শান্তিতে ও আনন্দে আমরা উৎসব পালন করব।”