সংগৃহীত ছবি
পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে এসে স্থানীয় মানুষজনের বাধার মুখে পড়লেন স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি সংস্থার নিয়োগ করা কর্মীরা। বুধবার দুপুরে মেডিক্যালের নতুন ক্যাম্পাস হাতোয়াড়ার ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির পদে ওই কর্মীদের নিয়োগের ব্যাপারে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। বহিরাগতদের নিয়োগ করা চলবে না বলেও তাঁরা দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান। কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও নিয়োগ নিয়ে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন।
তবে, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাউস-কিপিং, ওয়ার্ড বয়— এ রকম কয়েকটি পদে চুক্তিবদ্ধ কর্মী নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থার চুক্তি হয়েছে। সেই অনুযায়ী, এ দিন ওই সংস্থার তরফে ৪৪ জন যোগ দিতে এসেছিলেন। আমি বাইরে রয়েছি। শুনেছি, এ দিন কিছু লোকজনের বাধায় তাঁরা যোগ দিতে পারেননি। বিষয়টি আমি স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েছি।’’
ওই বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘নিয়োগ করা কর্মীরা সবাই পুরুলিয়া জেলারই বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে একে একে বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে আসতে দেখে এলাকার লোকজনের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। নিয়োগের খবর জানার পরেই ক্যাম্পাসের দরজার বাইরে অনেক লোক জড়ো হয়ে যান। তাঁরা ওই নিয়োগের পদ্ধতি ঘিরে প্রশ্ন তোলেন। পৌঁছন তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য হলধর মাহাতো, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া। যায় পুলিশও।
সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘ওই নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই।’’ হলধরবাবুও বলেন, ‘‘আমি এই এলাকা থেকে নির্বাচিত। তাই সকাল থেকেই স্থানীয়েরা আমাকে ফোন করতে থাকেন। এখানে যে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে, সে খবর আমার কাছেও ছিল না।’’ সৌমেনবাবু জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরেই নিয়োগ করা হবে।
এই মেডিক্যালে অধ্যক্ষের সই জাল করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার একটি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠার অভিযোগ ওঠে জুন মাসে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ফলে, এ দিনের নিয়োগের খবর সামনে আসতেই নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুদীপবাবু বলেন, ‘‘এ বারের নিয়োগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’’ সরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে সরব হওয়া আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখপাত্র অজিত মাহাতোও বলেন, ‘‘যাঁরা এ দিন কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁরা বহিরাগত কি না জানি না। নিয়োগ সম্পর্কিত পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার, যাতে কারও কোনও প্রশ্ন না থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy