অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টারে উত্তীর্ণ হলেও, আগের সিমেস্টারের কিছু বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। পুরনো সিমেস্টারের সেই পরীক্ষা দ্রুত আবার নেওয়ার দাবিতে সোমবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন জেলার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনের জেরে ভবনের ভিতরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন’জন কর্মী। পরে পড়ুয়া সরে যান। তাঁদের অভিযোগ, জোর খাটিয়ে অবস্থান তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ দিন আন্দোলন শুরু হয়েছে ‘বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিটি’র তরফে। সংগঠনের পক্ষ থেকে রজত পণ্ডা ও ফরমান আলির দাবি, “গত জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্দেশিকা দিয়েছে, চূড়ান্ত সিমেস্টারে উত্তীর্ণ অথচ আগের সিমেস্টারে কিছু বিষয়ে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশিকা পালনের দাবিতেই আন্দোলন করছি।”
যদিও বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোথাও এমন নিয়ম নেই যে, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা নিতে হবে। এমনটা করা হলেও, সে, শংসাপত্র বৈধ হবে না। পরীক্ষা নিজস্ব নিয়মে হয়। আগামী সিমেস্টারগুলির পরীক্ষাও সেই নির্দিষ্ট নিয়মেই হবে।” তিনি জানান, ওই পরীক্ষার্থীরা চাইলে পরবর্তী সিমেস্টারে বিশেষ পরীক্ষায় বসতে পারেন।
স্নাতকস্তরের অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষার সঙ্গেই মধ্যবর্তী সিমেস্টারে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের ফের পরীক্ষা (পার্ট এগজ়ামিনেশন) নেওয়ার দাবিতে সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলন করেছিলেন। রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই পার্ট এগজ়ামিনেশন ও অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা ডিসেম্বরে এক সঙ্গে নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী ওই পড়ুয়ারা জানান, অকৃতকার্য হওয়ার পরে তাঁরা উত্তরপত্র রিভিউ করিয়েছেন। সদ্য সেই রিভিউয়ের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “রিভিউ ভাল ভাবে করা হয়নি।’’ উপাচার্য বলেন, “কোনও পরীক্ষার্থীর রিভিউ নিয়ে সন্দেহ থাকলে, তিনি উত্তরপত্র দেখার জন্য আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উত্তরপত্র দেখানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy