প্রচারে জ্যোৎস্না মান্ডি (বাঁ দিক) ও চন্দনা বাউড়ি (ডান দিকে) । নিজস্ব চিত্র।
ভোটে লড়ছেন না। তবু পুরভোটের ময়দানে কার্যত টক্কর চলছে চন্দনা বাউড়ি ও জ্যোৎস্না মান্ডির। প্রথম জন বিজেপির শালতোড়ার বিধায়ক, যাঁকে ভোট প্রচারে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘পিছিয়ে পড়া মানুষের মুখ’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এ বার চন্দনাকে বিশেষত বাঁকুড়া পুরসভার বস্তিপ্রধান এলাকাগুলিতে প্রচারের মুখ করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলও বিশেষত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে রানিবাঁধের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে প্রচারে নামিয়েছে।
বাঁকুড়া শহরের ৪, ৬, ১৬, ২২, ২৩–সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে আর্থিক ভাবে দুর্বল ভোটারদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এ সব মানুষদের ভোট নির্ণায়ক হতে পারে। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় এক প্রস্ত প্রচার সেরেছেন চন্দনা। দলের নির্দেশে ভোট ঘোষণার পর থেকে কার্যত বাঁকুড়া শহরেই ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। মানুষের দুয়ারে যাওয়ার পাশাপাশি, সমাজ মাধ্যমেও প্রচার চালাচ্ছেন চন্দনা।
দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “চন্দনা নিজে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের এক প্রতিনিধি। তাই তাঁদের সমস্যা ওঁর চেয়ে ভাল কে বুঝবেন! প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমস্যা শুনছেন আমাদের বিধায়ক।” চন্দনাও বলেন, “বস্তির মানুষের উন্নয়নে বাঁকুড়া পুরসভা তেমন কিছুই করেনি। মানুষের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু সমস্যাই উঠে এসেছে। আগামী দিনে মানুষের সমর্থন পেয়ে আমরা বোর্ড গড়তে পারলে, শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হব।”
পিছিয়ে নেই জ্যোৎস্নাও। বাঁকুড়া শহরের ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় ঘুরে প্রচার করেছেন তিনি। তৃণমূলের বাঁকুড়া শহর সভাপতি সিন্টু রজক বলেন, “কেবল প্রচার নয়, মন্ত্রী হিসাবেও মানুষের সমস্যা জরিপ করছেন জ্যোৎস্না। তাঁর প্রচারে ভাল সাড়া মিলছে।” জ্যোৎস্নার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া মানুষের বহু সমস্যাই মিটেছে। আরও কী ভাবে পরিষেবার মান বাড়ানো যায়, সেই মত জানতে মানুষের কাছে যাওয়া।”
এ ক্ষেত্রে ভোট টানতে অবশ্য স্থানীয় কর্মীদের উপরে ভরসা রাখছেন বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বস্তি এলাকায় আমাদের প্রচুর কর্মী রয়েছেন। বছরভর মানুষের সুবিধা-অসুবিধায় তাঁরা পাশে দাঁড়ান। সে কর্মীদেরই নিজ-নিজ এলাকায় প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছি আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy