—ছবি পিটিআই।
আদিবাসী শিকারির মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে বিজেপি নেতাদের একাংশ দাবি করছেন বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিল করলেন আদিবাসী মানুষজন। ‘অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ’-সহ নানা আদিবাসী সংগঠনের তরফে রবিবার বাঁকুড়া শহরে ওই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। হাজার খানেক আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা এই কর্মসূচিতে ছিলেন।
এ দিন সকালে বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকা থেকে মিছিল করে মাচানতলা মোড়ে বিক্ষোভ সভা করেন আদিবাসী মানুষজন। ‘অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ’-এর বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীলকুমার মান্ডি বলেন, “বীরসা মুন্ডা আমাদের ভগবান। একটি শিকারির মূর্তিকে বিজেপি নেতারা বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে দাবি করায় আমরা ক্ষুব্ধ। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই মূর্তির নীচে রাখা বিরসা মুন্ডার ছবিতে শ্রদ্ধা জানান। বিষয়টি আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আমাদের দাবি, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।”
গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়া জেলায় আসেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া পোয়াবাগান এলাকায় বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ৬০ এ জাতীয় সড়কের পাশে একটি আদিবাসী পুরুষ মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে দাবি করে সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা বিজেপি। অনুষ্ঠানের আগে আদিবাসী মানুষজনের তরফে বিজেপির জেলা নেতাদের জানানো হয়, মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার নয়। এর পরেই বিজেপি নেতৃত্ব বিরসা মুন্ডার ছবি এনে মূর্তির সামনে রেখে ফুল দেওয়ার আয়োজন করে।
শাহ জেলা ছাড়ার পরের দিনই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দুধ-গঙ্গাজলে ওই মূর্তির পাদদেশ ‘শুদ্ধকরণ’ করা হয়। সপ্তাহ খানেক আগে কিছু আদিবাসী মানুষজন জড়ো হয়ে মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার বলে দাবি করে গোবর-জল দিয়ে ‘শুদ্ধকরণ’ করেন। ওই কর্মসূচিতেই মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার বলে দাবি করেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
এর পরেই জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে পোয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার বড় মূর্তি তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়। বিরসা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক বিতর্কের প্রতিবাদে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে পোস্টার দেয় ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’।
এ দিন সুভাষবাবু দাবি করেন, “তৃণমূল উস্কানি দিয়ে আদিবাসী মানুষজনকে মিছিল করাচ্ছে। ওরা রাজনৈতিক কারণে বিতর্কটি জিইয়ে রাখছে। আসলে তৃণমূল সরকার জঙ্গলমহলের মানুষের কোনও উন্নয়ন করেনি বলেই এই সব বিতর্ক খাড়া করছে।”
সুভাষবাবুর দাবি অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। তিনি বলেন, “এ দিনের কর্মসূচি একান্ত ভাবেই আদিবাসী মানুষদের ছিল। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি আদিবাসী মানুষজনের ভাবাবেগে আঘাত করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy