তুহিন ঝা। নিজস্ব চিত্র।
পথে নেমে যানবাহন ও ট্রাফিক সামলানো যাঁর রোজের কাজ, সেই তিনিই মারা গেলেন মোটরবাইক দুর্ঘটনায়। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে বোলপুর থানার রবীন্দ্রবিথি বাইপাস এলাকায়। মৃতের নাম, তুহিন ঝা (৩৬)। তিনি বোলপুরের ট্রাফিক ওসি পদে ছিলেন। তাঁর বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের শোভানগরে। এর আগে তিনি রামপুরহাট ও সিউড়ি শহর-সহ জেলার একাধিক থানায় ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলেছেন। মালদহের বাড়িতে তুহিনবাবুর বাবা-মা ও স্ত্রী রয়েছেন। মাস ছয়েক আগেই তুহিনবাবুর বিয়ে হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাঁর অকালমৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টুইট করে মৃত পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
বোলপুরের বিবেকানন্দপল্লিতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তুহিনবাবু। সোমবার রাতে বোলপুর বাইপাস হয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। ফাঁকা রাস্তায় তাঁর মোটরবাইকের গতি যথেষ্টই বেশি ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। হঠাৎই বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইপাসের ধারে থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ছিটকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তুহিনবাবু। বোলপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিন তাঁর মরদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সিউড়ি পুলিশ লাইনে আনা হয়। সেখানে জেলা পুলিশের তরফে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
রাস্তায় পড়ে তুহিনবাবু মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন বলে চিকিৎসকদের অনুমান। ফলে, ওই পুলিশ আধিকারিক হেলমেট ছাড়া বাইক কেন চালাচ্ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, হেলমেট পরে থাকলে হয়তো তাঁর প্রাণ বেঁচে যেত। হেলমেট না-পরার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ সুপার সরাসরি কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘নিশ্চয়ই হেলমেট উনি পরেছিলেন,তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ঠিক কী ঘটেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy