কংগ্রেসের কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে আজ, বুধবার ঝালদা ১ ব্লকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, সেই কর্মসূচি ঘিরেও চলে আসছে তৃণমূলের শহর কমিটির সভাপতি এবং কার্যকরী সভাপতির দ্বন্দ্বের বৃত্তান্ত। কেননা তৃণমূল সূত্রেই খবর, প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি হিসেবে শহর তৃণমূলের দুই যুযুধান নেতা আলাদা আলাদা ভাবে কর্মিসভা সেরে ফেলেছেন!
গত ৩ নভেম্বর প্রশাসনিক কাজে অসচ্ছতার অভিযোগ তুলে ও সরকারি কাজে শাসকদলের অগণতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে ঝালদা ১ ব্লক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয় কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত জেলায় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ঝালদা। সেখানকার রাজনৈতিক জমির দখল রাখতে কংগ্রেসের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঝালদায় পাল্টা প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূলও।
সেই কর্মসূচি সংগঠিত করার জন্যেই কর্মিসভার আয়োজন। সম্প্রতি বিজয়া সম্মলনীকে ঘিরেও দলের শহর কমিটির দুই নেতা দেবাশিস সেন ও সোমনাথ ওরফে রঞ্জন কর্মকার দুটি পৃথক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ ছিল, ‘‘উনি দলের কর্মসূচিতে থাকেন না।’’ সোমনাথবাবুর পাল্টা অভিযোগ ছিল, ‘‘কই, উনি তো ডাকেন না! তাই কর্মীদের অনুরোধেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে হয়েছিল।’’
কংগ্রেসের কর্মসূচির দিন কয়েক পরেই বুধবারের পাল্টা মিছিল আয়োজনের জন্যে দলের শহর কমিটির সভাপতি দেবাশিস সেন গত ৭ নভেম্বর ঝালদার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে কর্মিসভার আয়োজন করেন। তার এক সপ্তাহ পরে পুরশহরের 8 নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে শহর কমিটির কার্যকরী সভাপতি সোমনাথ কর্মকার আয়োজন করেন কর্মিসভার।
দলের কর্মসূচিকে ঘিরে কেন পাল্টা কর্মিসভা?
দেবাশিসবাবু বলছেন, ‘‘ওই সভা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সভা। তা হতেই পারে।’’ দেবাশিসবাবুর বক্তব্য অস্বীকার করে সোমনাথবাবুর জবাব, ‘‘এই সভা একটি ওয়ার্ডের সভা হবে কেন? সভায় সমস্ত ওয়ার্ডের কর্মীরাই উপস্থিত ছিলেন।’’ দলের যুব সংগঠনের সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলছেন, ‘‘সভাপতি তো আমাদের ডাকেন না। তাই পৃথক সভা করতে হয়েছে।’’
অতএব, সেই দ্বন্দ্ব রয়েছেই। প্রতিবাদ সভা ঘিরে আজ কী হয়, দেখার সেটাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy