বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে বক্তৃতা করছেন শতাব্দী রায়। নিজস্ব চিত্র।
চলতি মাসেই উদ্বোধন রাম মন্দিরের। সেই প্রসঙ্গে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের করা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে, তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবিরে সাংসদ রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির প্রচারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিজেপি নাকি রামকে বাড়ি করে দিচ্ছে। তাদের এত ক্ষমতা! তাহলে রাম বোধহয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ডে মানুষকে বাড়ি দিচ্ছি, তেমনি ওরাও রামকে বাড়ি দিচ্ছে।’’ শতাব্দীর সংযোজন, ‘‘তা হলে রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দিলে তা পূরণ হবে।’’
গত লোকসভা নির্বানচনের নিরিখে সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় বিজেপি-র চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বক্তৃতা দিতে উঠে প্রথমে শতাব্দী ওই প্রসঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের সমালোচনা করছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা সবাই ভোটে জিতে (পুরভোটে এক তরফা জয়ী তৃণমূল) যাচ্ছেন। কিন্তু, সেই একই জায়গা থেকে আমি কেন জিততে পারছি না? তাহলে আমি কি প্রার্থী হিসেবে খারাপ? আর তাই যদি হয়, তাহলে অন্য জায়গায় জিতছি কেন? তাহলে আপনারা নেতা হিসাবে খারাপ। আর না হলে মানুষের কাছে ঠিকমতো প্রচারে পৌঁছচ্ছেন না।’’ এর পরেই সাংসদ রামের ‘বাড়ির’ প্রসঙ্গ তুলে ওই মন্তব্য করেন।
এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিতর্ক দেখা দেয়। সাংসদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই সাংসদ কোথাও প্রচারে গেলে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। যদিও সেই হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাংসদ।
ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘শতাব্দী রায় হারেননি, হেরেছে তৃণমূল। পুরসভা নির্বাচনের সময় দিদির পুলিশকে সামনে রেখে গুন্ডা, কাটমানিখোর ও তোলাবাজদেরকে দিয়ে মনোনয়ন করতে দেয়নি। ভোট হয়নি বলেই পুরসভায় তৃণমূল জিতেছিল। বিধানসভায় হেরেছে ও লোকসভায় হেরেছে। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে সব ভোটেই হারবে তৃণমূল।’’ রামকে নিয়ে সাংসদের মন্তব্যে ধ্রুবের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বীরভূমের সনাতনী সমাজের মানুষকে আমি বলব, ভোট চাইতে এলেও তৃণমূল সাংসদকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করা হোক!’’
পরে সিউড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এটা আমার কথা নয়। ওরাই (বিজেপি) নাকি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল তোলার সময় বলছেন, ‘আমরা রামের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি’। সেই প্রসঙ্গেই কথাটা এসেছে। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসছে যে বলতে পারছে, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy