মন্ত্রীর কাছে। নিজস্ব চিত্র
বাম আমলে এগারো বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের উন্নয়নে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে, তার কয়েকশো গুণ বেশি অর্থ গত ন’বছরে খরচ করেছে রাজ্য সরকার। শ্রমিক মেলায় যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরের এ-টিম গ্রাউন্ডে শ্রমিক মেলায় যোগ দেন তিনি। ছিলেন আর এক মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র a ও উমাপদ বাউরি, রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান মদন বরাট, শ্রম দফতরের অতিরিক্ত লেবার কমিশনার মহম্মদ নাসিম ও তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত, রঘুনাথপুরের এসডিও আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর-সহ জেলা শ্রম দফতরের আধিকারিকেরা।
মেলা উদ্বোধনের পরে, শ্রমমন্ত্রী এ দিন জানান, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আর্থিক মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার কী-কী প্রকল্প নিয়েছে, সেগুলি শ্রমিকদের জানানোর লক্ষ্যেই গত কয়েকবছর ধরেই এই মেলা আয়োজিত হচ্ছে। এ বারেও তিন দিন ধরে চলা মেলায় রয়েছে ২৫টি স্টল। সেখান থেকে শ্রমিকেরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারবেন। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের ব্যবস্থাও থাকছে।
রাজ্য সরকার মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কী কাজ করছে, এ দিন মন্ত্রীর বক্তব্যে সেই কথাই বারবার এসেছে। মলয়বাবু মূলত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে টেনে এনেছেন বাম আমলের সঙ্গে বর্তমান রাজ্য সরকারের তুলনা।
তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। তার পরে এগারো বছরে বাম সরকার মাত্র ন’কোটি টাকা এই প্রকল্পে খরচ করেছিল। অথচ, আমাদের সরকার ন’বছরেই খরচ করেছে ১,৫৪০ কোটি টাকা।”
রঘুনাথপুর এলাকাতেও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ভালই কাজ হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত রঘুনাথপুরে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ২৭৪ জন শ্রমিক। তাঁদের অনুদানে খরচ হয়েছে সাত কোটি টাকা।’’ তবে এতেই না থেমে আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে শান্তিরামবাবুর মুখেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy