বাঁকুড়া শহরের তৃণমূলের জনসংযোগ মিছিলে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
নিজের পাড়ায় তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। মঙ্গলবার নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে যাওয়ার পথে তাঁর উদ্দেশে তৃণমূলের মিছিল থেকে ‘চোর চোর চোরটা’ স্লোগান উঠল। তাতে গলা মেলালেন মিছিলের নেতৃত্বে থাকা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকা তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বাঁকুড়া শহরে এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধীর তরজা।
মঙ্গলবার বিকেলে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানকাটা এলাকায় জনসংযোগ মিছিলের কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সে মিছিলের নেতৃত্বে সায়ন্তিকা ছাড়াও ছিলেন বাঁকুড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, পুর প্রশাসক অলকা সেন মজুমদার-সহ দলীয় নেতা-নেত্রীরা, কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল কানকাটা এলাকায় এগোতেই তার সামনে এসে পড়ে নীলাদ্রির গাড়ি। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি দেখতেই মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে— ‘চোর চোর চোরটা, বিজেপি-র এমএলএ- টা’। তাতে গলা মেলান সায়ন্তিকা-সহ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাও। অবশ্য তার পরেও বিজেপি বিধায়কের গাড়ি না থেমেই এগিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন নীলাদ্রি। তাঁর কথায়, ‘‘এটি বুদ্ধিভ্রম ও গণতন্ত্র হত্যার উদাহরণ। সায়ন্তিকা ছোটবোনের মতো। তবে আমার কাছে ভোটে হারার পর এমন আচরণ করেছে তাঁর দল তৃণমূল। তৃণমূল শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে তৃণমূল এ সব করে বেড়াচ্ছে।” নীলাদ্রির অভিযোগের পর তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন সায়ন্তিকা। তাঁর দাবি, “বিজেপি বিধায়ক কাজ করেন কি না, তা বাঁকুড়ার মানুষ ভাল মতোই জানেন। বিধায়ককে তো এ এলাকায় দেখাই যায় না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘প্রয়োজনের সময় বিধায়ককে খুঁজে না পেয়ে বাঁকুড়ার মানুষ থানায় মিসিং ডায়েরি করার কথাও ভাবছেন। আমাদের মতামত ও বাস্তব চিত্রটাই স্লোগান দিয়ে জানিয়েছি। এতে কারও অসুবিধা হলে তিনি যা খুশি বলতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, এই ওয়ার্ডেই বিধায়ক তথা বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলর নীলাদ্রির বাড়ি। গত বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া আসনে তাঁর কাছে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy