Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
TMC Infighting

দলের অঞ্চল সভাপতি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’! বিক্ষোভ দেখিয়ে পার্টি অফিস ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীদের

সম্প্রতিই সিমলাপাল ব্লকে পুনর্বহাল হওয়া অঞ্চল সভাপতিদের ‘পছন্দ’ না হওয়ায় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ।

A photograph Ruckus in TMC party office

তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর। নিজস্ব ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২
Share: Save:

দলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ’-এর অভিযোগ তুলে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের মাচাতোড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় বিজেপির কটাক্ষ, চোর আর ডাকাতের লড়াইয়ে হলে যা ঘটার, তাই ঘটেছে। শাসকদল অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, হামলাকারীরা কেউই দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ায়। সম্প্রতিই সিমলাপাল ব্লকে পুনর্বহাল হওয়া অঞ্চল সভাপতিদের ‘পছন্দ’ না হওয়ায় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। এ বার সরাসরি অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এলাকায় যাঁদের দোতলা-তিন তলা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি। অন্য দিকে, যাঁরা প্রকৃত গরিব, তাঁরা বাড়ি পাননি। অঞ্চল সভাপতিকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে দলীয় কার্যালয়ে তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

মাচাতোড়া অঞ্চলের বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী পিনাকীরঞ্জন মহান্তি বলেন, “অঞ্চল সভাপতি অনেক দুর্নীতি করেছেন। স্বজনপোষণের সঙ্গেও যুক্ত। দোতলা–তিন তলা বাড়ির মালিকদের আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছেন। দলের পদে থেকে যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন উনি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরাতে হবে।’’ আর এক বিক্ষোভকারী মইনুদ্দিন খান জানান, বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই এই বিক্ষোভ।

এই ঘটনায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “সিমলাপালে চোরের সঙ্গে ডাকাতের লড়াই চলছে। এলাকায় চোর থাকবে না কি ডাকাত থাকবে! আজ চোরেরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙেছে। কাল ডাকাতরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি আক্রমণ করবে। এটাই সারা রাজ্যে চলছে।” দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনাকে গোষ্ঠীকোন্দল বলতে নারাজ শাসকদলের তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন ‘‘যাঁরা ভাঙচুর করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন। এলাকার কিছু ঠিকাদার কাজ না করেই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে টাকা চাইছিল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঠিকাদাররা লোকজন পাঠিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Infighting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy