স্বজন হারানোর কান্না। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের বোলপুরে বাড়িতে আগুনে পুড়ে আরও এক জনের মৃত্যু হল। মৃতের নাম শেখ তুতা। ৩৮ বছরের ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছিল বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বামচাঁদাই পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বোলপুর থানার রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গীত গ্রামের একই পরিবারের তিন জন প্রাণ হারালেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। এক হাতুড়ে ডাক্তারের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
তোতা শেখ ও তাঁর স্ত্রী রূপা বিবির দুই পুত্রসন্তান। তাদের নাম আয়ান শেখ ও শেখ রাখ। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ছোট ছেলেকে নিয়ে দম্পতি ঘুমিয়ে পড়েন। খোলা ছিল জানলা। অভিযোগ, সেই সময় জানলা দিয়ে ঘরে কেরোসিন কিংবা পেট্রল জাতীয় কিছু ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ঘরটিতে।
আগুন ধরে যাওয়ার পর পাশের থেকে বেরিয়ে আসেন বড় ছেলে। কিন্তু তত ক্ষণে ভাইয়ের সঙ্গে বাবা-মাও ঝলসে গিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তখন বর্ধমানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রথমে রাস্তাতেই চার বছরের আয়ানের মৃত্যু হয়। পরে মারা যান মা। এ বার প্রাণ হারালেন বাড়ির কর্তাও।
প্রাথমিক তদন্তের পর এই ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া সম্পর্কের একটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মৃত তোতার সেজো ভাইয়ের স্ত্রী স্মৃতি বিবির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই গ্রামেরই হাতুড়ে ডাক্তার চন্দন ইসলাম। তোতা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। সেখান থেকে গন্ডগোল হয়। তার পরই তোতা এবং তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ছক করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যে স্মৃতিকে আটক আটক করছে। যদিও ওই হাতুড়ে ডাক্তারের খোঁজ মিলছে না। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy