Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার? বাঁকুড়ায় শিলাবতীর চরে দিনেদুপুরেও বালি পাচার! অভিযোগ উদাসীনতার

শিলাবতীর গর্ভ থেকে প্রতি দিন টন টন বালি পাচার হচ্ছে ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শ্রেণির ‘বালি মাফিয়া’ পুলিশ এবং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই কাজ করছে।

Sand smuggle

এ ভাবেই চলছে বালি পাচার। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৬
Share
Save

রাজ্য জুড়ে বালি পাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্দেশই সার! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শিলাবতী নদীর গর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে ট্র্যাক্টরে করে দিনেদুপুরে পাচার হচ্ছে বালি। সব জেনেশুনেও মুখে কুলুপ পুলিশের। তবে ওই ঘটনা সামনে আসতেই জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আকচাআকচি।

বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লক এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। শিলাবতীর গর্ভ থেকে প্রতি দিন টন টন বালি পাচার হচ্ছে ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শ্রেণির ‘বালি মাফিয়া’ পুলিশ এবং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই কাজ করছে। আর বালি লুণ্ঠনের ফলে পলিমাটির স্তর সরে যাচ্ছে। এই ভাবে অবৈধ এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি পাচারের ফলে নদীগর্ভের এক এক জায়গায় তৈরি হচ্ছে বিশাল গর্ত। তেমনই বিপজ্জনক ভাবে ভাঙছে পার। এ ভাবে বালি পাচার চলতে থাকলে সিমলাপাল ব্লকের গোটকানালি ও কুসুমকানালি গ্রাম-সহ আশপাশের এলাকা বড় ভাঙনের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুধু রাতের অন্ধকারে নয়, দিনের আলোতেও চলে। পুলিশ, প্রশাসন বিষয়টি জানে না তেমনও নয়। কিন্তু অজানা কারণে তাঁরাও চুপ থাকেন। এ ভাবে চললে আমাদের গ্রামগুলিই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে।’’

বালি পাচারের ছবি সামনে আসতেই শাসক-বিরোধী তরজাও চলছে জোর। বিজেপির তালড্যাংরা ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি আলোক মহান্তি বলেন, ‘‘রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, তা হলে আর কী ভাবে বালি চুরি ঠেকানো সম্ভব?’’ তাঁর দাবি, দল এবং ব্যক্তিগত ভাবে বেশ কয়েক বার সিমলাপালে বালি চুরির প্রতিবাদ করে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের একাংশ এবং পুলিশের মদতেই দিনের পর দিন অপরাধ ঘটে চলেছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। পাল্টা বালি চুরির ঘটনায় বিজেপি-যোগের অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

তৃণমূলের সিমলাপাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক রবিদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গোটকানালি এলাকাটি আমাদের পক্ষে নেই। ওই অবৈধ কারবারে আমাদের দলের কেউ যুক্তও নন। আমি নিশ্চিত, সেখানে বিজেপির মণ্ডল এবং বুথ সভাপতির নেতৃত্বে এই অবৈধ কারবার চলছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হোক।’’

অভিযোগ শোনার পর বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, বিষয়টি তাঁর কানে গিয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

sand smuggling bankura Simlapal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।