স্কুলের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি দিয়ে শুরু হয়েছিল হাতে খড়ি,এবার দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে পরিবারের সাথে হাত লাগিয়েছে। পাশাপাশি নিজের ছোট্ট দুর্গা বানাতে ব্যস্ত নবম শ্রেণীর ছাত্র দেব পাল। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
স্কুলে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি দিয়ে হাতেখড়ি। এ বার পরিবারের সঙ্গে দুর্গা প্রতিমা গড়ছে বোলপুরে বাসিন্দা নবম শ্রেণির পড়ুয়া দেব পাল। তাঁর স্বপ্ন বড় হয়ে নামকরা মৃৎশিল্পী হয়ে ওঠা।
বোলপুর মকরমপুর এলাকার বাসিন্দা দেব পাল। তাঁর বাবা অচিন্ত্য পাল কখনও রাজমিস্ত্রির, কখনও ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। কোনও রকমে সংসার চালান। দেবের মা সুচিত্রা পাল গৃহবধূ। পড়াশোনার পাশাপাশি, আঁকা ও মাটির পুতুল গড়তে ছোট থেকেই ভালবাসে দেব।
প্রতি বার প্রতিমা কিনে স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হত। গত বছর দেব স্কুলে নিজের হাতেই প্রতিমা গড়ার কথা বলে। অনুমতি মিলতেই শুরু হয় তার প্রতিমা তৈরীর কাজ। বাঁশ, কাঠ, খড়, চটের বস্তা দিয়ে সাড়ে চার ফুটের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেয় দেব। এ বারও স্কুলে সরস্বতী প্রতিমা তৈরীর ভার তার কাঁধে এসেই পড়েছে।
তবে সরস্বতীর আগেই দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজে নেমে পড়েছে দেব। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের দক্ষিণ পল্লি এলাকায় তার এক দিদি ও জামাইবাবু থাকেন। জামাইবাবু স্বরূপ মাহাতো মৃৎশিল্পীর কাজ করেন। ছোটবেলায় জামাইবাবুর কাছ থেকেই প্রতিমা তৈরীর শিক্ষা দেবের। এ বার সেই জামাইবাবুর সঙ্গে দুর্গার প্রতিমার কাঠামো বাঁধা থেকে শুরু করে রং—সবই কাজ করে চলেছে দেব। সে নিজেও এ বার দু’ফুটের একটি ছোট্ট দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছে। সেই প্রতিমা দিয়ে এ বার বাড়িতেও পুজো করবে বলেও স্থির করছে দেব।
দেবের কথায়, “যখন সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছিলাম তখন থেকে ইচ্ছা ছিল বড় প্রতিমা তৈরি করব। জামাইবাবুর সঙ্গে এ বার বেশ কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগিয়ে বেশ ভাল লাগছে। আমি বড় হয়ে শিল্পী হতে চাই। আগামী দিনে আরও বড় ধরনের কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy