প্রতীকী ছবি
গাছ দিয়ে যায় চেনা। তাই গাছের নামেই নাম হয়েছিল বহু জনপদের। সেই জনপদগুলি রয়েছে ঠিকই, তবে সময়ের প্রবাহে সেখান থেকে হারিয়ে গিয়েছে গাছগুলি। এ বার পুরনো সেই দিনগুলি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী পুরুলিয়া বন দফতর।
পুরুলিয়ার কাঁঠালটাঁড়ে ফলবে কাঁঠাল। শালবনিতে ছায়া দেবে শাল গাছ। আমলাতোড়া গ্রামে ফিরবে আমলকির বন। যে এলাকা যে গাছের নামে পরিচিত, সেই এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় সেই গাছ বসানো হবে। উদ্যোগ পুরুলিয়ার বন দফতরের বন সম্প্রসারণ বিভাগের। এতে নাম মাহাত্ম্য ফিরে পাবে বহু জনপদ, বলছেন বন আধিকারিকেরা।
রবিবার মাঠা বনাঞ্চলের কার্যালয়ে এসেছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। মন্ত্রীর কথায়, “এই উদ্যোগকে মডেল করে সারা রাজ্যে এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া যায় কি না, তার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “গ্রামের নাম যখন কাঁঠালটাঁড় কিংবা শালবনি, তখন কেন সেখানে কাঁঠাল বা শালগাছ প্রচুর সংখ্যায় থাকবে না!”
বন দফতরের এক কর্তা বলেন, “আসানসোলে এখন আর আসান গাছ খুব একটা দেখা যায় না। পুরুলিয়ার আমলাতোড়া গ্রাম থেকে হারিয়ে গিয়েছে আমলকি বন। অর্জুনজোড়া গ্রামে নেই অর্জুন গাছ। রঘুনাথপুরের মহুলবাড়ি গ্রামে ফিকে হয়ে গিয়েছে মহুলের জঙ্গল। এ বছর ১৪ জুলাই বন মহোৎসবের আগেই একশো দিনের কাজ প্রকল্পে এ রকম ১০টি জনপদের প্রতিটিতে ৬২৫টি করে চারা রোপণ করা হবে।” মন্ত্রী বলেন, “এই উদ্যোগের ফলে, প্রায় হারিয়ে যাওয়া গাছগুলি ফিরে আসবে। গাছের নামে চেনা যাবে গ্রাম।” পুরুলিয়া বনসম্প্রসারণ বিভাগের ডিএফও অনুপম খাঁর মতে, “এর মাধ্যমে ওই জনপদগুলি ফিরে পাবে গরিমা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy