‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড) বলে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা (নবম থেকে দ্বাদশ) স্কুলে যেতে পারবেন বলে বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে ঘিরে আপাত স্বস্তি ফিরলেও খুশি হতে পারেননি বীরভূম জেলার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আবার পরীক্ষা দেবেন না জানিয়ে আন্দোলনের পথ থেকে সরতে নারাজ তাঁরা।
তাই শুক্রবার ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘যোগ্য’দের সম্মানের সঙ্গে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি নিয়ে পথে নামলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ দিন বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি স্লোগান তোলেন চাকরিহারারা। মিছিলে বোলপুর ও আশপাশের এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত হয়েছিলেন। কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, কেউ গলায় প্রতীকী ওএমআর শিট ঝুলিয়ে মিছিলেপা মেলান। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। সেটি তাঁরা রাজ্যপালের কাছে জমা করবেন। মিছিল শহর পরিক্রমা করে বোলপুর চৌরাস্তায় পৌঁছলে সেখানে পথসভা করা হয়।
বীরভূমে চাকরি হারিয়েছেন এক হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এত সংখ্যক চাকরি বাতিলে স্কুলের কাজকর্মে প্রভাব পড়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ বলে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারবেন। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদেরই অন্যতম দেবলীনা দাস, বিউটি সাহারা বলেন, “এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা ইতিমধ্যেই যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই, সেখানে দীর্ঘ ৮- ৯ বছর চাকরি করার পরে কেন আবার পরীক্ষায় বসতে হবে? আমরা চাই, রাজ্য সরকারকে এই দুর্নীতির দায় নিয়ে অবিলম্বে স্বচ্ছ ও যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিযতে হবে। এখনই আমরা লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ছি না।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)