এই সেই কুপন। নিজস্ব চিত্র
‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের কুপন মিলল সারের গাদায়। সেই অভিযোগ নিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসী।
‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করার জন্য কুপন পাঠানো হয়েছিল বিডিও অফিস থেকে। মহম্মদবাজার ব্লকের সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের সোঁতশাল মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্প করা হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লকের কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার কুপন বিলির। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের সোঁতশাল, দীঘলগ্রাম, আলিনগর, সেকেড্ডা গ্রামের বহু বাসিন্দা ওই কুপন না পাওয়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে পারেননি। শনিবার ক্যাম্প শেষ হবার পর সোঁতশাল এমএসকে কেন্দ্রের পাশের সারের গাদায় বহু কুপন পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে।
এলাকার লোকজন সোঁতশালের দুই পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল শেখ ও সিরাজ শেখকে বিষয়টি জানাতে গেলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনও গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। কুপনের মধ্যে লেখা ফোন নম্বর দেখে ফোন করলে দেখা যায় কুপনগুলি সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে মহম্মদবাজার ব্লকের বিডিও-র দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। এ ছাড়াও
যে সব কুপন বিলি হয়েছে সে জন্য কুড়ি টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। মহম্মদবাজারের বিডিও আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
সোঁতশাল গ্রামের বাসিন্দা সমীরণ শেখ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কুপন ব্লক থেকে পাঠানো হয় সেকেড্ডা পঞ্চায়েতে। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান সোঁতশালের দুই পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল শেখ ও সিরাজ শেখকে কুপন বিলির দায়িত্ব দেন। ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের নিজেদের কুপন বের করে নেয়। কিছু লোককে কুড়ি টাকা করে নিয়ে কুপন দেয় ও বাকি কুপন সারের গাদায় ফেলে দেয়।’’ আরেক বাসিন্দা বাবুলাল শেখ বলেন, ‘‘সিরাজ শেখের ছেলে শকুরকে বললেও বলে সমস্ত কুপন বিলি করা হয়েছে। অথচ বহু মানুষ কুপন না পাওয়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে বঞ্চিত হল। যারা কুপন বিলির দ্বায়িত্বে ছিল তাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা।’’ সেকেড্ডা গ্রামের সেখ হকিকততুল্লা বলেন, ‘‘বন্ধুর ফোন পেয়ে বিডিও অফিসে এসে দেখলাম আমার কুপন ও সারের গাদায় পড়ে ছিল। যারা কুপন বিলির দ্বায়িত্বে ছিল তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’’ আলিনগরের বাসিন্দা রেহেনা বিবির দাবি, ‘‘যাঁরা কুপন বিলির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে বলেন কুপন আসেনি।’’
পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল সেখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যা। কুপন বিলির জন্য আমাকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’’ বিডিও আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘ব্যাপারটি জেনেছি। পঞ্চায়েত স্তরে ও আমাদের স্বনির্ভর
গোষ্ঠীর যাঁরা সদস্য রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy