অপরিচ্ছন্ন। সিউড়ির ডাঙ্গালপাড়ার রাস্তার ধারে পড়ে আছে আবর্জনা। মঙ্গলবার সকালে। — নিজস্ব চিত্র।
পরিচ্ছন্নতার নিরিখে রাজ্যের পুরসভাগুলির মধ্যে খারাপের তালিকায় নাম রয়েছে সিউড়ি পুরসভার। সোমবার নবান্নে পুরপ্রধানদের নিয়ে ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই তালিকা পড়ে শোনান। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই নড়েচড়ে বসেছে সিউড়ি পুরসভা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা।
পুরসভার হঠাৎ এ হেন তৎপরতা দেখে শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন, শহরের কোথায় কোথায় আবর্জনা জমে আছে, সে তথ্য যদি পুরসভার কাছে থেকে ছিল এবং পুরসভার কাছে পর্যাপ্ত সাফাই কর্মীও ছিল, তা হলে এতদিন ধরে জেলার সদর শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার এই উদ্যোগ দেখা যায়নি কেন? এই প্রসঙ্গে সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখব। ইতিমধ্যেই পরিছন্নতার কাজ জোরকদমে শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’’
সিউড়ির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। বিশেষত সিউড়ি সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ড চত্বর, শহরের মধ্যে থাকা একাধিক পুকুরের পাড়, স্কুল সংলগ্ন চত্বর এবং বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে নিয়মিত আবর্জনা জমে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুরসভার তরফ থেকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলেও দাবি বাসিন্দাদের। সিউড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের পাড়ায় নিয়মিত আবর্জনা নিয়ে যাওয়া বা রাস্তাঘাট পরিষ্কারের কাজ হয় না। পাড়ার মধ্যে যে বড় নর্দমা আছে, সেটিও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই নর্দমার জল ও ময়লা রাস্তার উপর উঠে আসে। আমাদের সেই ময়লার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। আশা করি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পরিস্থিতির বদল হবে।”
একই বক্তব্য শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বঙ্কিম অধিকারীর। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। শহরের যে কোনও পাড়ায় গেলেই দেখা যাবে, আবর্জনা ভাল করে পরিষ্কার হয় না। পুরসভাকে বললেও খুব বেশি কাজ হয় না। পুরসভা ভাল করে কাজ করলে সকলেরই সুবিধা। তবে গত কয়েক মাসে পরিচ্ছন্নতার কাজ কিছুটা ভাল হচ্ছে।” পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘আমরা শহর জুড়ে সমস্ত পুর-প্রতিনিধিকে নিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখব। কেন পরিচ্ছন্নতার তালিকায় সিউড়ি নীচের দিকে স্থান পেয়েছে, সেই বিষয়ে পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টরের কাছেও কারণ জানতে চাওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy