Advertisement
E-Paper

প্রধানকে নিয়ে ‘বিক্ষোভের’ মুখে বিকাশ

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘কাটমানি’ নিয়েছেন আলুন্দা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিদা বিবি।

গ্রামবাসীদের মাঝে বিকাশ রায়চৌধুরী। শুক্রবার শুক্রবার সিউড়ির আলুন্দা অঞ্চলে। নিজস্ব চিত্র

গ্রামবাসীদের মাঝে বিকাশ রায়চৌধুরী। শুক্রবার শুক্রবার সিউড়ির আলুন্দা অঞ্চলে। নিজস্ব চিত্র

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫২
Share
Save

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে ফের গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। শুক্রবার সিউড়ির আলুন্দা অঞ্চলে তাঁকে ঘিরে নানা প্রশ্ন করেন প্রামবাসী।

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘কাটমানি’ নিয়েছেন আলুন্দা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিদা বিবি। অভিযোগকারীরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করলেও প্রধানের দাবি, ‘‘গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ নেই। সিপিএম ও বিজেপির কয়েক জন লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছে।’’ যদিও বিধায়ক বলেন, “এলাকায় বিক্ষোভ নেই। এখানে তৃণমূল ছাড়া কোনও দলের কোনও অস্তিত্বই নেই। যদি কোনও ভুল করে থাকেন, তা সংশোধন করতে হবে। আর কেউ যদি কোনও খারাপ কাজ করে, তা হলে দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

এ দিন সকালে আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুরে পৌঁছন বিকাশ। সেখানেই দফায় দফায় আলুন্দা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিদা বিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী। আবাস যোজনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এর ফলে সম্পূর্ণ ঘর তৈরি করাও সম্ভব হয়নি বলেও গ্রামবাসীর দাবি। নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য গ্রামের খেলার মাঠকেও প্রধান বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া জবকার্ডের ক্ষেত্রেও প্রধান ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

এক গ্রামবাসী জানান, পর পর দশ দিন পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েও তিনি জবকার্ড পাননি। অথচ টাকা দিলেই তা দ্রুত তৈরি করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে রুবিদাকে প্রার্থী না-করারও দাবি ওঠে। গ্রামবাসীদেরঅভিযোগ, বিধায়কের সামনে নিজেদের দাবির কথা বলতে গেলেই স্লোগান দিয়ে ও চিৎকার করে তাঁদের কথা বিধায়কের কানে পৌঁছতে দেয়নি পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা। পঞ্চায়েত প্রধান রুবিদা বিবি এই

অভিযোগকারীদের সিপিএম-বিজেপি বলে দাগিয়ে দিলেও, তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানের এই বক্তব্যকে ভাল চোখে দেখছে না দল। দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমন না করে তাঁদেরই বিরোধী পক্ষ বলে দাগিয়ে দিলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা বুমেরাং হতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের। প্রধানকে ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও দলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে।

Suri Bikash Roychoudhury Didir Suraksha Kavach

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}