বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
স্নাতক, স্নাতকোত্তরের অন্তিম সিমেস্টারের পাঠ্যক্রম শেষ হতে বহু বাকি। তার মধ্যেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন পড়ুয়াদের একাংশ। পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবন কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জমায়েত হতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। কথা হয় শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষের সঙ্গেও। তিনি পড়ুয়াদের দাবি নিয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি। পরীক্ষা পিছনোর লিখিত বিজ্ঞপ্তি না-পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দেন পড়ুয়ারা। দাবি না মানা হলে আগামী সোমবার থেকে শিক্ষাভবন ও বিশ্বভারতীর পরীক্ষা বিভাগে ফের তালা ঝুলিয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, গত ১৩ এপ্রিল হঠাৎ নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়, আগামী ১২ মে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের অন্তিম সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। অথচ, এর আগে পর্যন্ত তাঁদের মৌখিক ভাবে জুন-জুলাই মাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বলে দাবি। এ ভাবে পরীক্ষার সময় এগিয়ে দিলে সমস্যা হবে, সেই কথা জানিয়ে পড়ুয়ারা পৃথক ভাবে নিজেদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তার পরে সেই সমস্ত স্মারকলিপি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
তাঁদের দাবি, শিক্ষাভবনের সমস্ত বিভাগে অন্তিম সিমেস্টারের পড়াশোনা শুরু হয়েছে মার্চ মাসের শেষের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে ন্যূনতম ৯০ দিন পড়াশোনা না-করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় না।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে সব কটি বিভাগেই এখনও পর্যন্ত সবে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়েছে। প্র্যাকটিক্যাল হয়নি বললে চলে। বহু পড়ুয়ার প্রজেক্টের কাজ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রেস বিবৃতি জারি করে পড়ুয়ারা দাবি করেছে, এই অবস্থায় প্রস্তুতির ন্য়ূনতম সময় না পেলে পরীক্ষায় বসা অসম্ভব। এই অবস্থায় পরীক্ষা পিছনোর দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা। সোমবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো না হলে শিক্ষাভবনের সমস্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রেখে পরীক্ষা বিভাগ ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও রয়েছে। বিক্ষোভের জেরে এ দিন শিক্ষাভবনের পঠন-পাঠন এক প্রকার বন্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কোনও লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।
দুর্ঘটনায় মৃত
নানুর: পথ দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে বোলপুর - পালিতপুর সড়কে নানুরের কুলে বটতলার কাছে। পুলিশ জানায়, মৃত বাইক আরোহীর নাম সাহেব শেখ (২২)। বাড়ি নানুরের আতকুলা গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পিছন থেকে কোনও গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে সাহেবের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ গোকুল শেখ ও সাহেব বোলপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কুলে বটতলার কাছে তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাহেবকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রক্ত সঙ্কটে
ইলামবাজার: রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠনের আহ্বানে বৃহস্পতিবার ইলামবাজার এলাকায় একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের ভ্রাম্যমাণ বাতানুকূল বাসে এই শিবির করা হয়। এ দিন ওই শিবির থেকে মোট ৪১ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহীত রক্ত বোলপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এই রক্তদান শিবিরের অন্যতম আয়োজক সুবল কর্মকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy