খাওয়া-দাওয়া। ঝালদার ডুড়গি নিম্নবুনিয়াদি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র ।
ঝুড়িভর্তি বিনস, বরবটি, টোম্যাটো। কাঁচা হাতের পাকা ফসল পড়ছে পাতে। ঝালদার ডুড়গি জুনিয়র বেসিক স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের কাঁচা হাতের যত্নে তৈরি কিচেন গার্ডেনের আনাজ বৈচিত্র এনেছে হেঁশেলে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, গরমের সময় বেগুন, বিনস, বরবটি, টোম্যাটোর মতো আনাজের পাশাপাশি লঙ্কার ফলনও হয়েছে দেদার। প্রায় দিনই সেই আনাজ দিয়ে রান্না করা পদ খুদেদের রসনা তৃপ্ত করছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবোধ গরাঁই। তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই গরম বাড়ছে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে তাই সহজপাচ্য খাবারই দেওয়া হচ্ছে। রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর দলের মহিলাদেরও বুঝিয়ে দিয়েছি।”
আনাজ ফলাতে উৎসাহী পড়ুয়ারাও। সঙ্গীতা কর্মকার নামে এক পড়ুয়া বলে, “ফলন ভাল হয়েছে। তবে কাঠফাটা রোদে গাছ বাঁচানো কষ্টের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা রোজই সেচ দিচ্ছি।” হাসি হাসি মুখে পড়ুয়ারা বলে, “নিজের হাতে ফলানো আনাজ দিয়ে তৈরি খাবারের স্বাদই আলাদা। কী যে আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। প্রধান শিক্ষকের দাবি, “শুধু চারাগুলো এনে দিলেই হচ্ছে। একটু বুঝিয়ে দেওয়ার পরে বাকি কাজ পড়ুয়ারাই করে নিচ্ছে।”
আর পাঁচটা স্কুলের মধ্যে থেকে বরাবরই নজর কাড়ে ডুড়গি জুনিয়র বেসিক স্কুল। এই বিদ্যালয়ের সাজানো বাগান, দোলনা, প্রজেক্টরের মাধ্যমে পড়াশোনা কিংবা বিশাল খেলার মাঠে পড়ুয়াদের খেলাধুলো ইত্যাদি শিক্ষা মহলের চর্চায় এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর মাহাতো বলেন, “ছুটির দিনেও দেখি কিছু পড়ুয়া স্কুলে এসে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত
থাকে। ওদের এই প্রয়াসকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। স্কুলটির প্রয়াসে গর্বিত গ্রামবাসী।
চাষাবাদে খুদেদের সাফল্যের কথা প্রশাসনের কানে গিয়েছে। বিডিও (ঝালদা ১) মদনমোহন মুর্মু বলেন, “এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। বাকি স্কুলগুলিকেও সাধ্য মতো তা অনুসরণ করতে বলব।”
ঝালদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস মণ্ডলের কথায়, “রসনা তৃপ্তিই শুধু নয়, রাসায়নিক সার বা কীটনাশক বাদে উৎপাদিত আনাজ দিয়ে রান্না পুষ্টিগুণেরও দাবি রাখে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy