সিবিআই শিবিরে পৌঁছলেন সিটের সদস্যরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
বগটুই-কাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুকর ঘটনার তদন্ শুরু করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বুধবার সিটের সাত সদস্য রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছন। সিটের তদন্তকারী অফিসার প্রিয়াঙ্কা মালিঠার নেতৃত্বে অন্য আধিকারিকেরা এ দিন তদন্ত শুরু করেন।
এ দিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট থানার মাঝখণ্ড মোড় লাগোয়া সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছন সিটের সদস্যরা। ঘটনাস্থল সঠিকভাবে পরিমাপ করার জন্য রামপুরহাট ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে ডাকেন তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে ঘটনাস্থলের দাগ নম্বর, মৌজা নম্বর যাচাই করেন তদন্তকারীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সিটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির পর্যবেক্ষণ করেন।
বিকেল ৫টা ১০ নাগাদ রামপুরহাট আদালতের এসিজেএম শৌভিক দে-র উপস্থিতিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের নীচের তলার তালাবন্ধ ঘরটি খোলা হয়। ওই ঘরের শৌচালয়েই লালন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার হয় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর। এসিজেএম-এর উপস্থিতিতে তদন্তের স্বার্থে সিটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা দোতলার আর একটি তালাবন্ধ ঘর খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ঘরের চাবি ঠিক কাজ না করায় ঘরটি খোলা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ওই ঘর খোলার জন্য রামপুরহাট আদালতে এসিজেএমের কাছে সিট পুনরায় আর্জি জানিয়েছে। ওই ঘর খোলার জন্য লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-র আধিকারিককেও আজ, বৃহস্পতিবার সিবিআই শিবিরে ডাকা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে ঘরটি খোলা যায়নি সেই ঘরেই সিবিআই হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হত। সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ জানান, নতুন করে আবেদনের ভিত্তিতে ওই ঘর আবার খোলা হবে।
কলকাতা হাই কোর্ট লালন শেখের সিবিআই হেফাজতের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষ কয়েকটি বিষয় সিটকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে। তার মধ্যে লালন শেখের অপমৃত্যুতে যে সাত সিবিআই আধিকারিকের নামে এফআইআর করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ওই মৃত্যুর যোগ কতটা ছিল সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy