দিন কয়েক আগেই বীরভূমের সিউড়িতে দুই দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার সেই বীরভূমেই আক্রান্ত হলেন উর্দিধারীরা! এ বার লাভপুর। নকল কয়েন ব্যবসার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল লাভপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আহত হন এক পুলিশকর্মীও।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া গ্রাম সংলগ্ন অমৃতবাঁধ এলাকায় টহল দিচ্ছিল লাভপুর থানার পুলিশ। ওই এলাকাতেই নকল কয়েনের ব্যবসা চলছে বলে খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় অন্তত ২০ জন নকল কয়েন ব্যবসায়ী পুলিশকে তাড়া করেন। ধাওয়া করে এসে হাতিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন তাঁরা। সেই ইটের ঘায়ে ভাঙে পুলিশের গাড়ির কাচ। আহত হন এক পুলিশকর্মীও।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন লাভপুর থানার পদস্থ আধিকারিকেরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকা থমথমে। যদিও নতুন করে কোনও উত্তেজনা ছড়ায়নি। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই খবর।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত মাসেই সিউড়ি মিনিস্টিল এলাকায় অশান্তি বাধে। অভিযোগ, গত ২৮ জানুয়ারি সকালে মিনিস্টিল এলাকায় বন্দুক হাতে কয়েক জন যুবক ঢুকে পড়েছিলেন। বন্দুক উঁচিয়ে গ্রামবাসীদের শাসাতে থাকেন। শূন্যে গুলিও ছোড়া হয়। তবে গ্রামবাসীরাই কৌশলে তাঁদের ধরে ফেলেন। তার পর বেঁধে মারধর করেন অভিযুক্তদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে ওঠে। সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ধরপাকড়ও করেন। ঘটনাস্থলে যান সিউড়ি থানার আইসি। অভিযোগ, সে সময় তাঁর কলার ধরে হুমকিও দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা বাবু আনসারি-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। আবার সেই বীরভূমেই রক্ত ঝরল পুলিশের।