আক্রান্তদের পাশে তৃণমূল বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র
হামলার অভিযোগ ওঠার দু’দিন পরে রবিবার পাত্রসায়রের বেলুট গ্রামে ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকা ওই এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসও এ দিন খোলা হয়।
বেলুট গ্রামে শুক্রবার রাতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিল্পা দাস মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা অভিষেক মুখোপাধ্যায়ের মা আশি বছরের কনক মুখোপাধ্যায় ও আর এক তৃণমূল কর্মী দ্বৈপায়ন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলুট গ্রামে পৌঁছন শ্যামলবাবু। সঙ্গে ছিলেন পাত্রসায়র তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ, যুব তৃণমূল সভাপতি সুব্রত দত্ত প্রমুখ। দলের কর্মীদের নিয়ে বেলুট বাজার থেকে মিছিল করে তাঁরা আক্রান্তদের বাড়ি যান। কথা বলেন আক্রান্ত শিল্পাদেবী ও দ্বৈপায়নবাবুর সঙ্গে।
সেখান থেকে তাঁরা যান দলের বেলুট অঞ্চল পার্টি অফিসে। এই পার্টি অফিসটি কয়েক মাস আগে ভাঙচুর করা হয়। তখন থেকেই বন্ধ ছিল অফিসটি। শ্যামলবাবু দলের কর্মী ও অঞ্চল সভাপতি তাপস বাড়ির সঙ্গে হাত লাগিয়ে পার্টি অফিস পরিষ্কার করেন। তোলা হয় দলের পতাকা।
শনিবার শ্যামলবাবু জানিয়েছিলেন, দলের অন্য একটি কাজে তিনি ব্যস্ত। তাই সে দিন পাত্রসায়রে ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারেননি। এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপির চরিত্র মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরা চার বছরের শিশু, আশি বছরের বৃদ্ধাকেও মারধর করতে ছাড়ে না। মহিলা নেত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। চার লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এলাকার মানুষ তাঁকে জানিয়েছেন, এ বার তাঁরাই প্রতিরোধে নামবেন। যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষের দাবি, ‘‘সবই তৃণমূলের সাজানো ঘটনা। পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।’’
ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ দাবি করেন, ‘‘চৌত্রিশ বছরের বামফ্রন্টের সময়েও এখানে মা-বোনদের উপরে অত্যাচার হয়নি। কিন্তু বিজেপি এখনই সেই অত্যাচার শুরু করেছে।’’ শিল্পাদেবী বলেন, ‘‘সে দিন খুব আতঙ্কে কেটেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ সাহস দিয়েছেন। পার্টির সব নেতারা এসেছিলেন। আমরা ভরসা পেয়েছি।’’ বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি তমাল গুঁইয়ের দাবি, ‘‘ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করিয়েছে। এ ভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই বলে নাটক করছে।’’
ওই হামলার অভিযোগে শুক্রবার রাতেই পুলিশ তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দো দিনের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy